নিউজ ডেস্ক ::এই চ্যালেঞ্জপর্ব অবশ্য শুক্রবার সকালে। অন্তত মুখে তিনি তাই বলেছেন। কিন্তু আগে তিনি যা করেছেন, তারা জন্য কিন্তু তিনি কোনো অনুতাপ প্রকাশ করেন নি। অভিযোগ উঠেছিল জেপিসির চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের দিকে বোতল ছোড়ার চেষ্টা করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই সৌজন্যের অভাবের অভিযোগ আনলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, “আমি নিজে আগেরদিন রাতে চেয়ারম্যান জগদম্বিকা পালের জন্মদিন পালন করেছি। আমার হাতে ছ’টা সেলাই পড়েছে। ন্যূনতম সৌজন্য নেই, বিরোধীরা ছাড়া জেপিসির অন্য সদস্যরা আমায় জিজ্ঞেস করেনি যে কী হয়েছে। কমিটি রুম থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত পড়তে পড়তে গিয়েছে।” হাত কেটে যাওয়া, রক্তক্ষরণ খুবই দুঃখের। কিন্তু একজন সাংসদের কি উচিত এভাবে বোতল ভেঙে ফেলা!
সেদিন ছবিতে দেখা গিয়েছিল টেবিলে পড়ে রয়েছে ভাঙা কাচের বোতল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঙুলে ব্যান্ডেজ। এআইএমআইএম সাংসদ আসাউদ্দিন ওয়েইসির কাঁধে হাত রেখে বের হতে দেখা যায় তাঁকে। সেইদিন কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, “আমাকে টার্গেট করা হয়েছে, কারণ আমি প্রতিবাদ করি। অসম্প্রদায়িক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার বিষয়ে কোন আপোশ করব না। আমাকে খুন করার চক্রান্ত চলছে। ওরা আমাকে খুন করতে পারে। ” গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর সংসদের জেপিসি বৈঠকে বিজেপি সাংসদ তথা কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায় মারপিট হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরাসরি নিশানা করে তৃণমূল সাংসদ বলেন, “অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জুডিশিয়ারির কুলাঙ্গার। উকিল ছিল নাকি? ওকে চ্যালেঞ্জ করছি। কলেজিয়ামে দুই জন বন্ধুকে ধরে জাজ হয়েছে।”