মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ৩৭ জন নিরাপত্তা কর্মীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছে – অভিযোগ ডাঃ আখতার আলির

নিউজ ডেস্ক ::মেডিক্যাল কলেজ দুর্নীতির আরেকটি বিষয় এবার সামনে আনলেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আর জি করা হসপিটালের দুর্নীতি নিয়ে তিনি প্রথম থেকেই সরব ছিলেন। দুর্নীতির বিষয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও একই ছবি। অভিযোগ,২০২০ সালে কোভিডের সময় থেকে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সেই সময় টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কোভিড শেষ হয়ে যাওয়ার পর তাঁদেরকে কাজ থেকে বরখাস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁরা বারবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা মেলেনি। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থও হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু তারা নিয়োগ পান নি।

অথচ নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ হয়েছে। এই বিষয়ে বিভিন্ন টেন্ডারে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বরাত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে থাকা বেসরকারি হাসপাতালের এক ঠিকাদারকে। এই ঠিকাদারের সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টে রেখেছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ। তারপরও তারা কীভাবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বরাত পেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলি বলেন, এই বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। বারবার অভিযোগ উঠে আসছে। তিনি জানান, যাঁরা দেড় বা ২ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁরাই সব স্বীকার করেছেন। সেই ফুটেজও উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি আখতার আলির। তিনি বলেন, “সব জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আমার সন্দেহ এর পিছনে কোনও সরকারি কর্মীর হাত আছে। আমি থাকতে দ্বিতীয় আরজিকর হতে দেব না। দ্বিতীয় সন্দীপ ঘোষ তৈরি হতে দেব না।” অভিযোগ ৩৭ জন নিরাপত্তা কর্মীকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছে। এখন দেখার স্বাস্থ্য দপ্তর কি ব্যবস্থা নেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *