নিউজ ডেস্ক ::এখানকার রাজ্য সরকারের উপর সাধারণ মানুষের ভরসা চলে গিয়েছে। পুলিশ – প্রশাসনের উপর ভরসা নেই। রবিবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মেডিক্যাল কলেজগুলিতে থ্রেট কালচার প্রসঙ্গেও তিনি খোঁচা দিয়েছেন।
যাদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ, তারাই এবার সংগঠন তৈরি করেছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের মধ্যে দুটি সংগঠন তৈরি হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে সেই নতুন সংগঠন আত্মপ্রকাশ করেছে। তাই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তাহলে কি শাসক দল তৃণমূল নতুন পন্থায় চাপ বাড়াল আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের উপর? সেই প্রশ্ন উঠছে।
সবাই মিলে জাস্টিস বলে ভিড়ে মিশে যাচ্ছে। যারা জুনিয়র চিকিৎসকের উপর অত্যাচার করেছে, সেই দোষীরাও এই ভিড়ের মধ্যে আছে। সরকারের উপর কেউ চাপ স্বীকার করছে না। এই সব ঘটনা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানার মধ্যে। তার সরকার, ডিপার্টমেন্ট করছে। তাঁকে কেউ দোষী করছে না। তাঁকে বাচানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জোরালো দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ।
অভয়া থেকে অন্যান্য নির্যাতিতার পরিবারের ভরসা নেই রাজ্য সরকার, পুলিশ প্রশাসনের উপর। সেজন্য তারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছেন। সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন। তার মানে এখানকার রাজ্য সরকারের উপর মানুষের ভরসাই চলে গিয়েছে। কটাক্ষ করলেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ। অভয়ার বাবা – মায়ের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কি দেখা করবেন? সেই বিষয়ে তাঁর জানা নেই। সেই দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ।
ফের জমা জলে কলকাতা শহরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু৷ ফের পরিকাঠামো ও বিদ্যুৎ বিভাগের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই নিয়েও কটাক্ষ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বিদ্যুতের বিল প্রতি বছর বাড়িয়ে দিচ্ছে। কিন্তু পরিষেবা থেকে সুরক্ষার বিষয়টি সরকার দেখে না। তাই এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।