বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারত দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে – কৃষ্ণ শ্রীনিবাস

নিউজ ডেস্ক ::কৃষ্ণ শ্রীনিবাস হলেন ইন্টারন্যাশনল মনিটরি ফান্ড বা আইএমএফ-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের ডিরেক্টর। তিনি সাম্প্রতিককালে আর্থিক দিক থেকে ভারতের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তিনি মনে করেন গত কয়েক বছরে ভারতীয় আর্থনীতি যেভাবে এগোচ্ছে, তাতে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই ভারত বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশেষ একটা স্থান গ্রহণ করবে। তবে তিনি ভারতের উদ্দেশ্যে কিছু বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন আইএমএফ-এর এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগের ডিরেক্টর, কৃষ্ণ শ্রীনিবাসন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত এখনও বিশ্বের বৃহত্তম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ। তবে, আগামী দিনে তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে ভারতকে। তিনি বলেন, “ভারত এখনও বিশ্বের বৃহত্তম ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির দেশ। আমাদের অনুমান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি সাত শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। কারণ, গ্রামীণ এলাকায় ফসল উৎপাদন ভাল হওয়ায় কেনাকাটা আগের জায়গায় ফিরেছে। কিছু অস্থিরতা সত্ত্বেও, খাদ্যের দাম স্বাভাবিক হওয়ার কারণে ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে মূল্যবৃদ্ধি ৪.৪ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। নির্বাচন সত্ত্বেও, ফিস্কাল কনসোলিডেশন ঠিকঠাক জায়গায় রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার ভাঁড়ারের অবস্থাও বেশ ভাল।” তবে তিনি তিনটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিতে হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন –

১) প্রথম বিষয়টি হল, ভারতে কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়ে গিয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে, আমি মনে করি ২০১৯-২০ সালে অনুমোদিত শ্রম বিধিগুলি বাস্তবায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই বিধিগুলি শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি শ্রম-বাজারকে নমনীয় হতে দেবে।

২) দ্বিতীয় বিষয়টি হল, যদি ভারত প্রতিযোগিতামূলক হতে চায়, তবে আপনাদের এই মুহূর্তে বাণিজ্য বিষয়ক কিছু বিধিনিষেধও সরাতে হবে। কারণ, আপনি যখন বাণিজ্য উদারীকরণ করেন, তখন শুধুমাত্র উৎপাদনশীল সংস্থাগুলিই টিকে থাকে। প্রতিযোগিতা আরও বাড়ে এবং সেই ক্ষেত্রে আপনাআপনিই চাকরি তৈরি হয়। 

৩) তৃতীয়, আমি  ভারতকে বলব যে, সংস্কারের কাজ চালিয়ে যান। পরিকাঠামো বৃদ্ধি, তা ভৌত পরিকাঠামোই হোক বা ডিজিটাল পরিকাঠামো, সেটা তো করে যেতেই হবে। এটা অন্যতম বড় অর্জন। কিন্তু এর বাইরে গিয়ে, আমি বলব আপনাকে কৃষি এবং ভূমি সংস্কারের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। শিক্ষা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আপনাকে আরও ভাবতে হবে। যে অর্থনীতিতে পরিষেবা খাতে অনেক বেশি চাকরি তৈরি হয়, সেখানে সঠিক ধরনের দক্ষতা থাকা গুরুত্বপূর্ণ৷ তাই, শিক্ষায় বিনিয়োগ করা, শ্রম বাহিনীকে দক্ষ করে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *