নিউজ ডেস্ক ::মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারেরা বৈঠক করার পরেই জানিয়ে ছিলেন যে শনিবার তাঁরা গণকনভেনশন করে সমস্ত চিকিৎসকদের মতামত নেবেন। সেই অনুযায়ী তাঁরা শনিবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অডিটোরিয়ামে এই গণ কনভেনশন করেন। এ দিনের মঞ্চ থেকে কিঞ্জল নন্দকে বলতে শোনা যায়, মানুষের এ বার একটি পক্ষ বেছে নেওয়ার সময় এসেছে। তিনি বলেন, ‘মানুষকেই ঠিক করতে হবে, তাঁরা প্রতিবাদ-ন্যায়ের পক্ষে থাকবেন, না থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে থাকবেন।’ কিঞ্জলের দাবি, ৯ অগস্ট রাতে আরজি করে যা ঘটেছিল, তা থ্রেট কালচারেরই প্রতিফলন। অনেকেই এখন তা অস্বীকার করতে পারেন। কিন্তু গত ৩-৪ বছর ধরে আরজি করে কোনও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ছিল না। অনিকেত মাহাতোও বলেন, ‘আমরা জানতে চাই একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে বাঁচানোর জন্য কেন একটা সরকার এত উদগ্রীব। এই ঘটনার উদ্দেশ্য কী, তা আমরা জানতে চাই। রাজ্য প্রশাসন একটা থ্রেট কালচারের পক্ষ নিতে চাইছে। নবান্নে সভাঘরে তা দেখেছি। আমরা তার বিরোধিতা করছি।’ ওই মঞ্চ থেকেই একে একে উঠে আসে সরকার বিরোধী কথা। সকলেই বলেন, আন্দোলন চলবে।
খবরে প্রকাশ ইতিমধ্যে শাসক দলের চিকিৎসকেরা আরেকটি সংগঠন তৈরী করেছেন। যার নাম দেওয়া হয়েছে -‘পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন’। সকলেই সেই সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। কিঞ্জলের সুরেই আরেক প্রতিবাদী মুখ দেবাশিস হালদার এই অ্যাসোসিয়েশনকে ‘ভুঁইফোড়ের মতো’ গজিয়ে ওঠা সংগঠন বলে জানান, ‘থ্রেট কালচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল যারা, নবান্ন সভাঘরে আমরা যাদের নটোরিয়াস ক্রিমিনাল বলেছিলাম, শুধু আরজি করে নয় প্রতিটি কলেজে তারা সিন্ডিকেট চালায়, তারা প্রেস ক্লাবে নতুন সংগঠন করেছে।’ সন্দীপ ঘোষের সাঙ্গপাঙ্গরা প্রেস ক্লাবে বাইট দিচ্ছে বলেও এদিন বলতে শোনা যায় দেবাশিস হালদারকে। তিনি বলেন, ‘নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের প্রকার পক্ষ নিয়েছিলেন। কুণাল ঘোষের সঙ্গে কয়েকজন মিটিংও করে এসেছেন।’ সবটা মিলে আন্দোলন ও প্রতি-আন্দোলনে আবার জমে উঠতে চলেছে বাংলার পরিবেশ।