নিউজ ডেস্ক ::সাধারণভাবে অহিন্দু সম্প্রদায়ের কোনো মহিলা এতো সাবলীলভাবে মাকালী হয়ে উঠতে পারবেন, তা কল্পনা করা যায় না। এর পিছনে অন্যতম কারণ তাসমিয়ার জীবন দর্শন। তিনি বলেন, “আমি ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করি। চার্চে যাই। মন্দিরে যাই। মসজিদে যাই। নতুন কিছু শিখতে পারব। তার জন্য খুবই উত্তেজিত ছিলাম। নাচের কোনও বিশেষ অংশের জন্য পুরাণের অনেক কাহিনিও জেনেছি।”এভাবেই এক মুসলিম কন্যা ধর্মের বেড়াজাল ডিঙিয়ে হয়ে উঠেছে বিশ্ব মানবতার সন্তান।
দিল্লিতে চলেছে রামলীলা। আর সেই অনুষ্ঠানের অন্যতম পারফর্মার এই তাসমিয়া। রামলীলায় অভিনয় নিয়ে বাংলাদেশের ওই তরুণী বলেন, “১১ দিনের কাজ ছিল। অনেক আনন্দ করেছি। সকালে রিহার্সালের জন্য আসতে হত। দুপুরে স্টেজে ফাইনাল টেক হত। তারপর শো হত। অসাধারণ অভিজ্ঞতা।” স্কুলজীবনের শেষে ঢাকা থেকে দিল্লি চলে আসেন তাসমিয়া। পড়াশোনার পাশাপাশি চলতে থাকে কত্থকের তালিম। রামলীলার পরিচালক অনিশেষ শর্মা বলেন, “জনশ্রুতি আছে যে তুলসীদাসের অনুপ্রেরণায় বাদশা আকবর রামলীলা শুরু করেছিলেন। তিনি তুলসীদাসের দোহা শুনতে ভালবাসতেন।” এভাবেই ধৰ্মীয় সংস্কৃতির বিশ্বায়ন হয়ে যায় মুহূর্তে – যা দেখে খুবই খুশি নাগরিক মহল।