বিভিন্ন প্রদেশে বিভিন্ন নামে ভাইফোঁটা প্রচলিত

নিউজ ডেস্ক ::আগামীকাল অর্থাৎ ৩ নভেম্বর সারা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে পালিত হবে ‘ভাইফোঁটা’। তবে প্রচলিত একটি রীতি বলছে, ভাইফোঁটা হয় কালীপূজার পরের দিন অর্থাৎ প্রতিপদে ভাইফোঁটা হয়। সেই কারণেই ভাইফোঁটার একটি মন্ত্র হলো – ‘প্রতিপদে দিয়ে ফোঁটা দ্বিতীয়াতে নীতা, আজ হতে আমার ভাই যম দুয়ারে তিতা।’ যার অর্থ, ভাইকে প্রতিপদে ফোঁটা দিয়ে দ্বিতীয়াতে নীতা বা নিমন্ত্রণ করা হচ্ছে। তবে এখন সময়ের অভাবে দু’দিন ধরে আর এই অনুষ্ঠান চলে না। তাই দ্বিতীয়াতেই প্রধানত ফোঁটা হয়। এবার প্রশ্ন, বাংলায় আমরা যে ভাইফোঁটা দেখে অভ্যস্ত তা কি বাংলার বাইরে অন্য প্রদেশেও আছে? হ্যাঁ, আছে। তবে কিছুটা আলাদা রূপে ও আলাদা নামে।ভাইফোঁটার দিন ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোনেরা তাঁদের কপালে কনিষ্ঠা আঙুল দিয়ে তিনবার চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দেন। ধান, দুর্বা দিয়ে ভাইয়ের মাথায় আশীর্বাদ করেন, শঙ্খ বাজান, উলু দেন।�

এই ফোঁটা কিন্তু ভাই ও বোনদের মধ্যে চিরন্তন মধুর সম্পর্কের একটা প্রতীক। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষ বিভিন্ন নাম দিয়েছে এই উৎসবের। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাইফোঁটাকে ডাকা হয় ‘ভাইদুজ’ নামে। এই সব জায়গায় ভ্রাতৃদ্বিতীয় পাঁচ দিনের দীপাবলি উৎসবের শেষ দিন। আবার গোয়া, মহারাষ্ট্র এবং কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ‘ভাইবিজ’। নেপাল ও দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে ভাইফোঁটাকে বলে ‘ভাইটিকা’। যা আসলে বিজয়াদশমীর পর সবচেয়ে বড় উৎসব। আবার কোনও কোনও অঞ্চলে এর নাম ‘যমদ্বিতীয়া’। কিন্তু সব জায়গায় এই উৎসবের আসল সুর ভাই ও বোনেদের মধ্যে প্রীতির সম্পর্ক আরও নিবিড় করে তোলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *