নিউজ ডেস্ক ::দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নারকেলডাঙা এলাকা। একে উপরকে লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে একেবারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনার জেরে আটকে পড়ে একটি কালীপুজোর বিসর্জন। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছয় কলকাতা পুলিশের বিশাল টিম।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয় র্যাফকেও। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাটানো হিয় কাঁদানে গ্যাসের শেলও। কার্যত শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত চলে সংঘাত। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক পোস্ট হতে শুরু করে। এমনকি তোপ দাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নিতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দেয় কলকাতা পুলিশ। স্পষ্ট জানায়, বাইক পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে সংঘাতের সূত্রপাত। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। এমনকি এলাকায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলেও দাবি।
বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করে ঘটনায় কলকাতা পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী। তোষণের রাজনীতি’র জন্যে এই হাল বলেও দাবি। বিরোধী দলনেতার দাবি, কালীপুজোর ভাসান লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। যা সামাল দিতে ব্যর্থ পুলিশ প্রশাসন। কলকাতা পুলিশ না পারলে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবিও জানান নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ওই টুইটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবং রাজ্যপালকেও ট্যাগ করেছেন।
ঘটনার পরেই পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট কলকাতা পুলিশের। এমনকি কালী পুজোর বিসর্জনে কোনও হামলা হয়নি বলেও দাবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরেই নারকেলডাঙা থানার তরফে চারটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনা কীভাবে এত বড় আকার নিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এলাকায় লাগানো সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
শুধু পাথরবৃষ্টি নয়, ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি চলেছে বলেও অভিযোগ একাংশের। যদিও এই বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে সংঘাতের জেরে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে খবর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি আজ শনিবার সকাল থেকে সেখানে পরিস্থিতি থমথমে। নতুন করে যাতে কোনও ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক পুলিশ প্রশাসন। একেবারে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।