নিউজ ডেস্ক ::বাংলার উৎসব পর্ব প্রায় শেষ পর্যায়ে। সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। আর তা হলেই এবারের মতো শেষ হবে পুজা পার্বন। আর তা মিটলেই ছয় বিধানসভায় উপ নির্বাচন (West Bengal By Election 2024)। তৃণমূল এবং বিজেপির সামনে বড় লড়াই। বাংলার বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই উপ নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ শাসক এবং বিরোধীদের কাছে।
আর এই ভোট মিটলেই সংগঠনের একাধিক ক্ষেত্রে রদবদল করতে চলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। একাধিক শীর্ষ পদে হতে পারে রদবদল। এমনকি ব্লক, অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্তদের দিকেও নজর থাকবে বলে জানা যাচ্ছে। গত ২১ জুলাই শহিদের মঞ্চ থেকে সংগঠনে রদবদলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ।
স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পারফরম্যান্সই হল শেষকথা। এমনকি আগামী তিনমাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। গত লোকসভা নির্বাচনে কোন নেতার কি ভূমিকা তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থার কথাও জানান তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। এরপর প্রায় কেটে গিয়েছে কয়েকমাস। সম্প্রতি চোখের অপারেশন সেরে বাংলায় ফিরেছেন ‘যুবরাজ’। আর এরপরেই সংগঠনের বেশকিছু ক্ষেত্রে রদবদলের জল্পনা আরও জোরাল হচ্ছে।
লোকসভা নির্বাচনে শহরাঞ্চলে ভোটের ফলে মোটেই সন্তুষ্ট নন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এত কাজের পরেও ছবিটা কেন এমন? শহরের মানুষ কেন মুকঝ ফেরাচ্ছে? কোথায় সমস্যা। তা নিয়ে শুরু হয় পর্যালোচনা। ওয়ার্ড সভাপতিসহ শহরাঞ্চলের যে-সমস্ত নেতাকে দলীয় পদ দেওয়া হয়, তাঁদের ভূমিকাও খতিতে দেখা হয়। সংগঠনের কাজে গাফিলতির বিষয়টি দেখা হয়। জানা যাচ্ছে, একাধিক পদাধিকারী এবার পদ খওয়াতে পারেন। নতুন কোনও যুব মুখকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে খবর।
এমনকি বেশ কয়েকজন দলের নেতার কার্যকলাপও শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে এসেছে। এমনকি এই সমস্ত নেতাদের মন্তব্যে বারবার অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয় শাসককে। তাঁদেরকেও কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না। এমনটাই বাংলা এক সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও ব্লক, অঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের বেশ কয়েকজনের ‘চাকরি’ যেতে পারে বলেও দাবি ওই সংবাদমাধ্যমের।
বলে রাখা প্রয়োজন, আগামী ২০২৬ সাল তৃণমূলের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে বছরই বঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই প্রস্তুতি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সাল থেকেই শুরু করতে চায় শাসকদল। আর সেজন্য এখন থেকেই সাংগঠনকে গোড়া থেকে সাঁজাতে চান মমতা-অভিষেক। যে সমস্ত জায়গায় গাফিলতি কিংবা ফাঁক রয়েছে তা চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের মধ্যেই পূরণ করার ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি রাখতে চায় না বলেও খবর।