আরজি করের নিহত ডাক্তারি ছাত্রী তিলোত্তমার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী

নিউজ ডেস্ক ::আরজি করের নিহত ডাক্তারি ছাত্রী তিলোত্তমার পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাতে তার বাড়িতে আসেন শুভেন্দু, সাথে ছিলেন বিজেপি নেতা কৌস্তব বাগচী ও জয় সাহা।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ‘মমতা ব্যানার্জির সরকারের দ্বারা পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদের সহযোগিতায়, সিভিক ভলেন্টিয়ার কর্তৃক এবং ডাক্তার সন্দীপ ঘোষ বিনীত গোয়েল অভিষেক গুপ্তার সহ মমতা ব্যানার্জির নেতৃত্বে যে সরকারি ধর্ষণ ও খুন হয়েছে- বাবা-মা তার বিচার চান। তিলোত্তমার মা বাবা আমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন সেই কারণে এখানে আসা। কারন আমি ওকে বোন বলে ডেকেছি। তাই ‘আমার বোনকে মারলে কেন, মমতা তুমি জবাব দাও’ সোশ্যাল মিডিয়াতেও আমার এই উক্তি তিলোত্তমার বাবা মা দেখেছেন। তাই তার বাবা-মায়ের বক্তব্য ‘আমি যেহেতু বোন ডেকেছি তাই দায়িত্ব আপনার। আপনাকে পরিবারের সাথে থাকতে হবে। নিঃশর্তভাবে তার পরিবারের সাথে ছিলাম আজ থেকে বন্ধন টা আরো শক্তিশালী হলো। ওর পরিবারের শুভানুধ্যায়ী হিসেবে আমরা একসাথে ন্যায় বিচারের জন্য লড়বো। আর যারা ন্যায় বিচার চাইছে না, তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন, ধর্ষণদের আড়াল করছেন তাদের সাথেও আইনি পথে আমাদের লড়াই চলবে।’

শুভেন্দু আরো বলেন ‘তিলোত্তমার বাবা-মা আমাদেরকে দুটো দাবি জানিয়েছেন এর মধ্যে প্রথমত এটি সংগঠিত ধর্ষণ। যারা তথ্য-প্রমাণ লোপাটির সাথে জড়িত, তাদের কঠিনতম শাস্তি। দ্বিতীয়ত এটা সরকারি ধর্ষণ, হত্যা ও প্রমাণ লোপাট। তাই আইনের দরবারে এবং জনতার আদালতে সরকারেরও যাতে প্রকৃত বিচার হয়, সেটাও তারা চাইছেন।

কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সাক্ষাৎ হবে কিনা এই নিয়ে শুভেন্দু বলেন ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর তরফে যে মেসেজ দেওয়ার কথা সেটা আমি পরিবারের সদস্যদের দিয়েছি। ইতিমধ্যেই ওরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজ্যপাল কে চিঠি দিয়েছেন।’

আগামীকাল সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও নিয়ে শুভেন্দু দাবি ‘সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করুন, সাথে সাথে নবান্নটাও ঘেরাও করুন। সিজিও কমপ্লেক্স যদি যদি ঠিকঠাক করে তদন্ত না করে তার জন্য মহামান্য প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *