ফের পথে নামতে প্রস্তুত তৃণমূল!

নিউজ ডেস্ক ::উৎসব প্রায় শেষের মুখে। এবার উপনির্বাচন সহ দলকে ফের ‘পথে’ ফেরাতে প্রচারে ঝাঁপাতে চাইছে শাসক দল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই পুরোদমে জেলায় জেলায় যেতে পারেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে, শাসক দলের কাছে বড় পাওনা চোখের চিকিৎসা সেরে ফিরে এসেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীপুজোর দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় কালো চশমা পরে। তবে, তৃণমূল সূত্রে খবর, চোখের কারণে সাময়িক ভাবে কিছুদিন একটু ‘আড়ালে’ থাকলেও অভিষেকও শীঘ্রই তাঁর জেলাওয়ারি সফর শুরু করতে পারেন।

তৃণমূলের অন্দরের খবর, ফের পুরনো কর্মসূচির মতো উত্তর থেকে দক্ষিণে যাত্রা করতে পারেন অভিষেক। প্রথম দফায় কোচবিহার থেকে মালদহ সভা-সমাবেশ করার পর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় তা বন্ধ থাকবে। পরীক্ষা মিটলে ফের মুর্শিদাবাদ থেকে সুন্দরবন পর্যন্ত পথে থাকবেন অভিষেক। তৃণমূল সূত্রে খবর, পুরো পরিকল্পনাই এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। দলনেত্রীর অনুমতি ক্রমেই গোটা দলের কর্মসূচি ঘোষিত হতে পারে ধীরেধীরে।তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা মনে করছে, আরজি কর কাণ্ডের পরিপ্রক্ষিতে আগামী ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচন রীতিমতো বড় পরীক্ষা হতে চলেছে শাসক দলের কাছে। দল যে আরজি কর কাণ্ডে কিছুটা চাপে পড়েছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই তৃণমূলের অন্দরের অনেকেরই। তবে, দলনেত্রী যেভাবে ধৈর্য্য ধরে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে একাধিক বার বৈঠকে বসে তাঁদের দাবিদাওয়া পর্যালোচনা করে অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছেন, তাতে ‘হাওয়া’ অনেকেটাই ঘোরানো গিয়েছে বলে মনে করছেন তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই। তাই এই পরিস্থিতিতে তাঁরা আপাতত দলনেত্রীর নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছেন। সেই নির্দেশ এলেই পুরোদস্তুর ঝাঁপিয়ে পড়বেন তাঁরা। এর মধ্যে অবশ্য ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচার চলছে জোরকদমে। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্য়ের যে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে, তার সবক’টিতে ঘাস ফুল ফোটার বিষয়ে নিশ্চিত দলের স্থানীয় এবং শীর্ষ নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে যতই ‘অপপ্রচার’ হোক না কেন, মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দেবে! সংশ্লিষ্ট এলাকার নেতা ও কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যাতে ভোটারদের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেন এবং ঘরোয়া আলোচনায় তাঁদের দাবি-দাওয়া, অভাব-অভিযোগ শোনেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *