নিউজ ডেস্ক ::‘অভিষেক ব্যানার্জী’ নামটাই এখন তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন প্রজন্মের কাছে আইকন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহাশিস নিয়ে ও নিজের রাজনৈতিক মেধা ও যোগ্যতা দিয়েই তিনি এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বিতীয় ব্যক্তিত্ব। অথচ রাজনীতিতে তার হাতেখাড়ি ২০১১ সালে। রকেট গতিতে তার আগমন ও উত্থান। যুব তৃণমূলের সেই আইকন অভিষেকের জন্মদিন ৩৭ তম জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার। আর সেই জন্মদিনে তার বাড়িতে এবার ভক্ত ও অনুরাগীদের রেকর্ড ভিড় হলো।
রাজনীতির ময়দানে নেমেই
২০১৪ সালে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ। কলকাতার নিরাপদ আসন নয়, লড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে। প্রথমবারেই বাজিমাত। ৫ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয়। তার পর ২০১৯। ফের ২০২৪। ডায়মন্ড হারবার মানুষ বার বার তাঁকেই নির্বাচিত করেছেন। কেবল বাংলাই নয়, গেরুয়া শিবিরের ঘাঁটি গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতেও বিজেপিকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন। ঠান্ডা ঘরে বসে সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তুলে এটা হয় না। রীতিমতো মাঠে নেমে প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াইয়ের সুফল অভিষেকের এই ধারাবাহিক সাফল্য। একজন জননেতা এভাবেই জনমানসে নিজেকে অপরিহার্য করে তুলতে পারেন। বাংলার বাইরে বিশেষ করে গোয়া ও পূর্ব ভারতে তৃণমূল কংগ্রেসে সংগঠনের মূল কারিগর অভিষেক। করোনাকালে তিনি ছিলেন ডায়মন্ড হারবারের মানুষের পাশে। পরে চালু করলেন ‘এক ডাকে অভিষেক’ প্রকল্প – যা ছিল তার গণ-যোগাযোগর অন্যতম মাধ্যম।
শারীরিকভাবে বার বার অভিষেক অসুস্থ হয়েছেন। বিশেষ করে একটা দুর্ঘটনায় চোখে আঘাত পাওয়ার কারণে তাকে বার বার বিদেশে গিয়ে চোখের চিকিৎসা করাতে হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই তিনি রাজনীতিতে ছিলেন অবিচল। তার ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি মানুষকে নাড়া দিয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় বঞ্চানার বিরুদ্ধে তিনি বার বার সরব হয়ে দলের সকলের ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছেন। বৃহস্পতিবার জেলায় জেলায় তাঁর জন্মদিন পালন করা হয়। কালীঘাটের বাড়ির বাইরে জনসমুদ্র। একবার প্রিয় নেতাকে দেখার, ছোঁয়ার আকুতি বুঝিয়ে দেয় ক্রমেই নেতা হিসেবে কতটা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছেন তিনি। মাত্র তেরো বছরেই নবাগত থেকে হয়ে উঠেছেন নব্য প্রজন্মের মুখ। ইতিমধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক প্রবীণ নেতা অভিষেক ব্যানার্জীকে মমতা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী বলা শুরু করে দিয়েছেন।