নিউজ ডেস্ক ::শেষ পর্যন্ত প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে আর জি কর কাণ্ডে তথ্যপ্রমাণ লোপাটে অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের মোবাইল ফোনের সিএফএসএল রিপোর্টে বিশেষ তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই অফিসারদের হাতে। এখন হয়তো আরও গভীর সংকটে পড়তে চলেছেন ওই দুজন। ওই কাণ্ডে বারবার অভিযোগ উঠেছে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির অভিযোগ সন্দীপ ঘোষকে প্রথমে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার পর এই গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পিছনে তাঁর হাত আছে বলে তথ্য পায় সিবিআই। আর সেই মামলাতে যুক্ত করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। এই ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের হাতে এসেছে মুছে ফেলা একাধিক ফোন কল রেকর্ডিং বলে সূত্রের খবর। সন্দীপ ঘোষ এবং প্রাক্তন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের একাধিক ফোন কল রেকর্ডিং মিলছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের বিষয় মিলেছে সেগুলি চার্জশিটে এখন উল্লেখ করা হচ্ছে। এক, এরা একে অপরকে চিনতেন। দুই, ফোনে কথা বলেই তথ্য লোপাট করা হয়। তিন, ৯ অগস্ট দু’জনের মধ্যে একাধিকবার টেলিফোনে কথাবার্তা হয়। চার, ওই টেলিফোনের কথোপকথনের একাধিক রেকর্ডিং মুছে ফেলাও হয়। পরে জানা যায়, অভিজিৎ মণ্ডলের ফোনে অটো কল রেকর্ডিং মোড অন থাকায় সমস্ত কল রেকর্ডিং হয়। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক হত্যার দিন প্রাক্তন ওসিকে বারবার নানা নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। আর সেসব কথোপকথন মুছে ফেলা হয়েছিল ফোন থেকে। ফরেনসিক পরীক্ষার সাহায্যে সেই সব মুছে ফেলা কথোপকথন ফিরে পেয়েছে সিবিআই। এখন দেখার সিবিআই কোনো নতুন ধারা যুক্ত করে কিনা!