নিউজ ডেস্ক ::আজ, ১০ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূরের কাজের শেষ দিন। তার ঠিক আগে শেষ শুনানিতে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ‘বুলডোজার অ্যাকশন’এর বিরুদ্ধে। উত্তর প্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যে যে ‘বুলডোজার অ্যাকশন’ চলছে, তার প্রতিবাদ করে বললেন, সভ্য নাগরিক সমাজে, যেখানে আইন দ্বারা সমাজ পরিচালিত হয়, সেখানে ‘বুলডোজার জাস্টিস’ কোনওভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। উত্তর প্রদেশে এক সাংবাদিকের পৈত্রিক বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার মামলাই শেষ শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি হিসাবে ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের। তিনি স্পষ্টত বলেন, মানুষের সম্পত্তির অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। সরকারের হাতে শক্তি আছে, তার মানে সে যা খুশি করবে তা হতে পারে না। গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এটা খুবই বিপজ্জনক।
শেষ রায়ে তিনি বুলডোজার শাসনের তীব্র সমালোচনা করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে ও সম্প্রতি হকার উচ্ছেদ করতে পশ্চিমবঙ্গে বুলডোজার ব্যবহার করা হয়েছিল। চন্দ্রচূর বলেন, “সম্পত্তি ধ্বংস করে জনগণের কণ্ঠরোধ করা যাবে না। জনগণের বাড়ির সুরক্ষা ও নিরাপত্তা মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। রাজ্যও এই নিয়ম মানতে বাধ্য। কোনও বেআইনি নির্মাণ বা জমি দখলের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনেই পদক্ষেপ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “বুলডোজারের মাধ্যমে বিচার- এটি সভ্য সমাজে অজানা। যদি রাজ্য সরকারি আধিকারিক বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই ধরনের অনৈতিক ও বেআইনি কার্যকলাপের অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।” তাঁর শেষ বক্তৃতা সকলের মনে একটা বিশেষ দাগ ফেলে গেলো।