প্রয়াত নাট্য ব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র

নিউজ ডেস্ক ::মঙ্গলবার সকাল ৮.৫০ মিনিটে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন নাটক ও সিনেমা জগতের অনন্য প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব মনোজ মিত্র।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেলেন, তাঁর স্ত্রী ও কন্যাকে। এর আগে ২৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল, কলকাতারই এক বেসরকারি হাসপাতালে। মৃত্যুর সঙ্গে কার্যত লড়াই করে, পুজোর আগে বাড়ি ফেরেন তিনি। তবে শেষ রক্ষা হল না, মাসখানেকের মধ্যেই হল জীবনাবসান। চারিদিকে শোকের ছায়া। জানানো হয়, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের কঠিন অসুখে ভুগছেন। সেই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবিটিস মেলাইটাস, ক্রনিক কিডনির অসুখ, সিওপিডি, ডিমেনশিয়ার মতো রোগও তাঁর ছিল। এছাড়া তাঁর হার্টের কার্যক্ষমতাও বেশ কম বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। অনেক চেষ্টার পরেও তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

প্রয়াত মনোজ মিত্র প্রধানত নাট্য জগতের মানুষ। তাঁর প্রথম নাটক ‘মৃত্যুর চোখের জল’ (১৯৫৯)। এর পরে কিছুটা বিরতি দিয়েই তাঁর বিখ্যাত নাটক ‘চাক ভাঙ্গা মধু'(১৯৭২) নাড়া দিয়ে যায় সমস্ত নাট্য অনুরাগী মানুষকে। পরে তিনি আসেন বাংলা ছবির জগতে। সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, শক্তি সামন্ত, গৌতম ঘোষের মতো পরিচালকদের পরিচালনায় অভিনয় করেছেন। তিনি ‘বাঞ্ছারামার বাগান’, ‘আদর্শ হিন্দু হোটেল’ খ্যাত অভিনেতা। সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার জয়ী নট ও নাট্যকারের প্রয়াণে বাংলা সংস্কৃতি জগতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হল। সল্টলেকের একটি বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। ভর্তির সময় হাসপাতাল জানিয়েছিল, তাঁর হৃদযন্ত্র ঠিক মতো কাজ করছে না। হার্ট পাম্পের সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে নেই। ক্রিয়েটিনিনও বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে গিয়েছে। সোডিয়াম-পটাসিয়ামেরও সমস্যা দেখা দিয়েছে। প্রবীণ অভিনেতার চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল। যদিও চিকিৎসকদের সমস্ত চেষ্টা বৃথা গেল!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *