নিউজ ডেস্ক ::লটারি প্রতারণা মামলায় বড় সাফল্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। লেক মার্কেটের কাছে একটি বহুতল থেককে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার করল তদন্তকারী সংস্থা। যা খবর, এখনও পর্যন্ত তিন কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। টাকার মেশিন আনা হয়েছে। চলছে এখনও নোট গণনা।
ফলে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমান ঠিক কোথায় গিয়ে থামবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বাড়ি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে রেখেছে। কাউকে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। লটারির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। করা হয়েছে কালো টাকা সাদাও (Lottery Scam) ।
আর সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই বৃহস্পতিবার কলকাতার লেক মার্কেট এবং এয়ারপোর্ট সংলগ্ন মাইকেল নগরের একটি বহুতলে তল্লাশি শুরু করেন ইডির বিশেষ আধিকারিকরা। দিল্লি থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় এই সমস্ত আধিকারিকদের। ইতিমধ্যে এহেন কেলেঙ্কারির তদন্তে প্রভাবশালী যোগ খুঁজে পেয়েছে ইডি।
যা খবর, দীর্ঘ তল্লাশিতে একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই সমস্ত নথি ঘেটেই একাধিক নাম এবং তথ্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা পেয়েছেন বলে খবর। এমনকি মাইকেল নগরের যে বহুতলে তল্লাশি চলছে সেটি লটারির সংস্থার একটি অফিস বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই লটারির টিকিট ছাপা হয়। এমনকি রয়েছে একটি গুদামও। সেই সমস্ত জায়গায় বৃহস্পতিবার থেকেই তল্লাশি চালাচ্ছেন আধিকারিকরা।
একই সঙ্গে লেক মার্কেটের কাছে একটু আবাসনেও চলে তল্লাশি। আর সেই সময় ওই বাড়ির একটি অংশ থেকে নগদ কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। কেন এবং কীসের জন্য ওই বহুতলে এত টাকা রাখা হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে তল্লাশিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতার আরও একটি জায়গাতেও ইডির স্পেশাল অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। বলে রাখা প্রয়োজন, লটারির কেলেঙ্কারির তদন্তে এর আগেও কলকাতাইয় তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর।
এমনকি ওই মাইকেল নগরের লটারি সংস্থার ছাপাখানা এবং গুদামে তল্লাশি অভিযান চালান আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। উদ্ধার হওয়া বিপ্যল নথি। জানা যায়, পুরস্কারপ্রাপকদের বঞ্চিত করে কোটি কোটি টাকা অন্যকে পাইয়ে দিত। দিনের পর দিন একেবারে ছক কষে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগও রইয়েছে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে। তদন্তকারীদের দাবি, এই কেলেঙ্কারি শুধু কলকাতা নয়, জেলা এবং দেশের একাধিক রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে।