নিউজ ডেস্ক ::এটাই হয়তো বাংলা! মজা করো, আনন্দ করো কিন্তু সীমারেখার মধ্যে ও আইন মেনে। কিন্তু এ অভাগা দেশে কেউ কেউ তো সমস্ত আইনের উর্দ্ধে! তা নাহলে এতো সাহস পান বৈদ্যবাটি পৌরসভার কাউন্সিলার পৌষালি ভট্টাচার্য!
ঘটনা হলো, কার্তিক পূজার আগের রাতে রসিকতা করে অনেকেই অনেকের বাড়ির দরজার কার্তিকের মূর্তি রেখে আসে। সেও আনন্দ করে পুজো করে। সবাইকে প্রসাদ খাওয়ায়। এই পর্যন্ত এটা বাংলার একটা সংস্কৃতির অঙ্গ বলা যায়। কিন্তু বৈদ্যবাটিতে যা ঘটলো তা কল্পনার অতীত। হুগলির বৈদ্যবাটি পুরসভার ১৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পৌষালি ভট্টাচার্য। তাঁর লেটারহেডে লেখা চিঠিতে সম্বোধন করা হয়েছে বাড়ির মালিক শ্যামল মাইতিকে। সেইসঙ্গে একটি কার্তিক ঠাকুরের মূর্তি। চিঠিতে নানা ভনিতা করে শেষে লেখা, ”আমাকে আনতে কাকুদের ২০০০ টাকা খরচ হয়েছে। আমাকে ঘরে নিয়ে কাকুদের হাতে ওই টাকা দিয়ে দিও।” স্বাভাবিক কারণেই ক্ষুব্ধ নাগরিক মহল, ক্ষুব্ধ পৌরসভার চেয়ারম্যান।
এসব নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধতেই অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন কাউন্সিলর পৌষালিদেবী। পুরসভার প্যাড ব্যবহার করে এই ধরনের ‘মজা’ করা যায় কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। ঘটনা জানাজানি হতেই বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো কড়া ধমক দিয়েছেন কাউন্সিলর পৌষালি ভট্টাচার্যকে। এ বিষয়ে পুরপ্রধান পিন্টু মাহাতো বলেন, ”পুরসভার কাউন্সিলরের প্যাড পুরসভার কাজে ব্যবহার করার জন্য। এইভাবে ব্যক্তিগত কোন কাজ বা মজা করার জন্য তা করা করা যায় না। যে কাউন্সিলর এই কাজ করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
