নিউজ ডেস্ক ::আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস কাদের দলে নিচ্ছে তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। বিশেষ করে হেড কোচ, ডিরেক্টর অব ক্রিকেট ও অধিনায়ক বদলের পর।
ঋষভ পন্থ অর্থের জন্য আইপিএল নিলামে যাননি বলে জানিয়ে দিয়েছেন। ফলে এটা স্পষ্ট, তাঁকে অধিনায়ক রাখতে রাজি নয় দিল্লি ক্যাপিটালসের নতুন ম্যানেজমেন্ট।
দিল্লি ক্যাপিটালসের হাতে পড়ে রয়েছে ৭৩ কোটি টাকা। সঙ্গে ২টি রাইট টু ম্যাচ অপশন। কিন্তু পন্থের সঙ্গে ক্যাপিটালসের যে তিক্ততার আভাস মিলেছে তাতে পন্থের জন্য দিল্লি আরটিএম ব্যবহারও করবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
সেক্ষেত্রে শ্রেয়স আইয়ারের জন্য দর কষাকষিতে শেষ পর্যন্ত লড়তে পারে ক্য়াপিটালস। শ্রেয়স অধিনায়ক হিসেবে ক্যাপিটালসকে ফাইনালেও তুলেছেন। ফলে তাঁকে ফিরিয়ে অধিনায়ক করা হতে পারে। শ্রেয়সকে না পেলে অক্ষর প্যাটেলের নাম অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণার জোরালো সম্ভাবনা।
দিল্লি ক্যাপিটালস রেখে দিয়েছে অক্ষর, কুলদীপ যাদব, ট্রিস্টান স্টাবস ও অভিষেক পোড়েলকে। মনে করা হচ্ছে ক্যাপিটালস আরটিএম ব্যবহার করে ২ ক্যাপড প্লেয়ারকে ফেরাতে পারে। যাঁদের টার্গেট করা হতে পারে তাঁদের মধ্যে আছেন মুকেশ কুমার, খলিল আহমেদ, জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক, আনরিখ নরকিয়া, মিচেল মার্শ ও হ্যারি ব্রুক।
খলিল তিন মরশুম দিল্লিতে কাটিয়েছেন, পাওয়ারপ্লে-তে উইকেটও পেয়েছেন। সর্বোপরি তিনি বাঁহাতি পেসার। মুকেশের নাম রয়েছে সেট ১৬-এ। ততক্ষণ অবধি দিল্লির হাতে আরটিএম বিকল্প নাও থাকতে পারে।
মুকেশ যে বিগত ২ মরশুমে আহামরি বল করেছেন তা নয়। ভারতের টি২০ দলেও নেই। তবে পরের দিকে কম পরিমাণ অর্থে তাঁকে নিতে পারে ক্য়াপিটালস। ২০২২ সালে ধরে রাখলেও নরকিয়াকে এবার রিটেনশন তালিকায় রাখেনি দিল্লি। তাঁকে ফেরানোর চেষ্টা হয় কিনা সেদিকে নজর থাকবে।
ব্য়াটারদের মধ্যে দিল্লি ক্যাপিটালস টার্গেট করতে পারে তিন নম্বর সেটে জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ককে। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের খুব পছন্দের। মিচেল মার্শ বা হ্যারি ব্রুক এবার আইপিএলে তেমন নজর কাড়তে পারেননি। তবে তাঁদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পারফরম্যান্স দিল্লিকে ভাবতে বাধ্য করতে পারে।
আনক্যাপড রসিখ সালাম দারের নাম রয়েছে সেট ১১-এ। ততক্ষণ অবধি একটি রাইট টু ম্যাচ অবশিষ্ট থাকলে আনক্যাপড এই পেসারের জন্য তা ব্যবহার করতে পারে ক্যাপিটালস।
