পৃথিবীর মেরুর অবস্থান বদল – আশ্চর্য আবিষ্কার ভূ-বিজ্ঞানীদের

  নিউজ ডেস্ক ::ভূ-বিজ্ঞান নিজের গবেষণা দ্রুত হারে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। তার ফলে এক আশ্চর্য গবেষণার ফল পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা গেছে,পৃথিবীর (Earth) ঘূর্ণন অক্ষের ওপর নির্ভর করে দিন রাতের হিসেব। শুধু তাই নয়, ভরের ওপর বেশ কিছুটা নির্ভর করে কীভাবে ঘূর্ণন গতি বজায় থাকবে। বিজ্ঞানীদের একাংশ জানিয়েছেন, মানুষ মাটি থেকে এত বেশি জল পাম্পের মাধ্যমে তুলে নিয়েছে যা পৃথিবীর ঘূর্ণনকে প্রভাবিত করেছে। ১৯৯৩ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে ঘূর্ণন গতি প্রায় ৪.৩৬ সেন্টিমিটার প্রভাবিত হয়েছে।   এর ফলে পৃথিবী প্রায় ৮০ সেন্টিমিটার পূর্বে হেলে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা নতুন জলবায়ু মডেলের উপর ভিত্তি করে এমনটাই অনুমান করেছেন। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস-এ প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, সেচের ফলে ভূগর্ভস্থ জল যেমন কমেছে একদিকে, অন্যদিকে, হিমবাহ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে রেকর্ড হারে।     গবেষকদের আন্তর্জাতিক দল অনুমান করেছে যে মানুষ ২১৫০ গিগাটন ভূগর্ভস্থ জল পাম্প করেছে। যা সমুদ্রপৃষ্ঠের ০.২৪ ইঞ্চিরও বেশি বৃদ্ধির সমতুল্য। এটি বোঝা গিয়েছে, পৃথিবীর ঘূর্ণন মেরুটি দেখে। ঘূর্ণন অক্ষকে কেন্দ্র করে পৃথিবী নিজের চারিদিকে ঘোরে। এর অর্থ হল পৃথিবীর ঘূর্ণন মেরুর অবস্থান পৃথিবীর বাইরের স্তরের (ভুত্বক) সাপেক্ষে পরিবর্তিত হয়।

    বিজ্ঞানীরা অনুমান করেছে যে বেশিরভাগ জল উত্তর আমেরিকা এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে জল পাম্প হয়েছে অতিরিক্ত হারে। এর ফলেই পৃথিবীর মেরুর অবস্থানের পরিবর্তন ঘটেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *