নিউজ ডেস্ক ::অস্থির বাংলাদেশ, অস্থির বাংলাদেশের আর্থিক অবস্থা। এই মুহূর্তে বিরাট ঋণে জর্জরিত বাংলাদেশ। আর সেই অবস্থায় পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর মদতে ভারত বিরোধিতায় নেমেছে বাংলাদেশ। এদিকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ চাহিদার একটা বড়ো অংশ যায় ভারত থেকে। সূত্রের খবর, বাংলাদেশের একটা বড় অংশের বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়, আদানি গোষ্ঠীর সংস্থা ‘আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড’ থেকে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরেই বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মেটাচ্ছে না বাংলাদেশ। যার পরেই গত ৩০ অক্টোবরের মধ্যে বকেয়া ৮৪৬ মিলিয়ন ডলার মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল ইউনূস সরকারকে। কিন্তু সেই কথাতেও কর্ণপাত করেনি পড়শি দেশ। ফলে নভেম্বর মাসের গোড়ার দিকেই বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেক করে দেয় আদানির সংস্থা। ১৪৯৬ মেগাওয়াটের পরিবর্তে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে সংস্থা। একদিকে বাংলাদেশ ঢেকে যাচ্ছে অন্ধকারে আরেকদিকে আদানি গোষ্ঠীর বকেয়া শোধ করা। গভীর সংকটে ইউনুস।
তিনি এখন খোঁজ করে চলেছেন আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে হাসিনা সরকারের চুক্তির ত্রুটি। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি এভাবে নষ্ট করা যায় না। সূত্রের খবর দেশের অন্তর্বর্তী সরকার কিছু দিন ধরেই এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পথ খুঁজছে। আন্তজার্তিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা লেনদেন নিয়ে আদানির চুক্তিতে কোনো অনিয়ম, অবৈধ আর্থিক বিনিময় হয়েছে কিনা– খুঁজে দেখছে বাংলাদেশ। এমন কোনও অনিয়মের অছিলায় বাংলাদেশ আদানিদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে দরকষাকষি বা বাতিলের পথে হাঁটতে পারে। চুক্তি বাতিল হতে পারে। কিন্তু বকেয়া তো শোধ করতেই হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে আদানি গ্রুপের এই চুক্তিতে নানা অনিয়ম ও অসংগতি রয়েছে বলেও প্রথম থেকে দাবি করে সরব হয়েছিল হাসিনা বিরোধীরা। কিন্তু এভাবে কি বকেয়া পরিশোধ থেকে রেহাই পাবে ইউনুস সরকার! সেই সম্ভাবনা প্রায় নেই।