একেই বলে হতভাগা ‘চোর’

নিউজ ডেস্ক ::জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চুরি করতে গিয়ে কিছুই পেলো না। পেলো সামান্য কিছু টাকা আর পোটাটো চিপস। ঘটনাটা ঘটেছে টিটাগরের বারাকপুর তালপুকুর গার্লস হাইস্কুলে। ঘটনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, সবকটি গেট মিলিয়ে ১০-১১টি তালা ভাঙতে হয়েছিল। নিচতলায় ঢুকে সবকটি ঘর মিলিয়ে ১৩-১৪টি আলমারি দেখতে পায় চোরেরা। সবকটি ভেঙে লকার খোলা হয়েছিল বলেই অভিযোগ। কিন্তু সেই অর্থে কিছুই পায়নি। শেষে একটি চিপসের প্যাকেট পায়। তা খেয়ে পেট ভরায় চোরেরা। অবশেষে মাত্র সাড়ে আটশো টাকা চুরি করে। হাতভাগা চোর একেই বলে।

স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দ্বাদশ শ্রেণির এই স্কুলটি পড়ুয়াদের হুল্লোড়ে গমগম করে সোম থেকে শনি। তাই স্থানীয়দের অনুমান, চোরেরা হয়ত ভেবেছিল লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা থাকতে পারে তালপুকুর গার্লস হাই স্কুলে। এই অনুমানেই নগদ অর্থ চুরির উদ্দেশ্যেই মঙ্গলবার রাতের অন্ধকারে স্কুলের পিছনের দিক থেকে দোতলায় উঠেছিল চোরেরা, পুলিশ ও স্কুল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষিকা স্পিহা রায়ের কথায়, “সব আলমারির তালা ভাঙা ছাড়া আর তেমন কিছু ক্ষতি হয়নি। ওরা (চেরেরা) স্টাফরুমেও গিয়েছিল। সেখানে একটি আলমারির ভিতরে এক শিক্ষিকার চিপসের প্যাকেট ছিল। সেটা ছিঁড়ে স্টাফরুমে বসে অর্ধেক খেয়ে প্যাকেট ফেলেছে। একটি জলের বোতল থেকে জলও খেয়েছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের বালাও আলমারিতে ছিল, কিন্তু নিয়ে যায়নি। তাই অনুমান, চোরেরা নগদ টাকাই চুরি করতে এসেছিল।”প্রধান শিক্ষিকা চিত্রা বন্দোপাধ্যায় বলেন, “গ্রুপ ডি কর্মচারীরা স্কুলে এসে দেখেন সবকটি গেট মিলিয়ে ১০-১১টি তালা ভাঙা। ১৩-১৪টি আলমারি ভেঙে লকার খোলা। যতটুকু দেখেছি কাগজ সেই অর্থে চুরি হয়নি। ফর্মের সঙ্গে যে নগদ সাড়ে আটশো টাকা ছিল, সেটাই চুরি হয়েছে।” তবে এটাও ঠিক যে ওই তালা কিনতে এবার স্কুলের বেশ কয়েক হাজার টাকা হয়তো গচ্চা দিতে হবে।

One thought on “একেই বলে হতভাগা ‘চোর’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *