দক্ষিণ ২৪ পরগনা এখন লস্কার-ই-তৈবার পাখির চোখ

নিউজ ডেস্ক ::সম্প্রতি ক্যানিং থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে কাশ্মীরের জঙ্গি জাভেদ মুন্সিকে। আর তাকে ম্যারাথন জেরা করে এই তথ্য পেল জম্মু–কাশ্মীর পুলিশ। আর তারপরই সময় নষ্ট না করে ভূস্বর্গের পুলিশ তথ্য দিল এই রাজ্যের প্রশাসনকে বলে সূত্রের খবর। তারা জানিয়েছে, বাংলাদেশে এখন অশান্তির বাতাবরণ। আর তার লাগোয়া এলাকা সুন্দরবন। যা এপার বাংলায়। এখানেই ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ তৈরি করেছে লস্কর–ই–তৈবা। তার কারণ এখানে জলপথে উপকূলের পুলিশ এবং বিএসএফের চোখে ধোঁকা দেওয়া। এই সুন্দরবন এলাকা ব্যবহার করে পৌঁছে যাওয়া যাবে রাজশাহী, খুলনা–সহ বাংলাদেশের জেলাগুলিতে। আর সেটাও অনেক কম সময়ে। আর তার সঙ্গে নতুন করে বেশ কয়েকটি এলাকায় ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল তার। দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে পাখির চোখ করা হলেও মূল পথ তৈরি হচ্ছে সুন্দরবনে। যেখান থেকে সহজেই বাংলাদেশে যাতায়াত সম্ভব। ‘জঙ্গি’ জাভেদকে নিয়ে কাশ্মীর গিয়েছে শহিদগঞ্জ থানার পুলিশ। স্বাভাবিক কারণেই সচেতন হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোষ্টাল পুলিশ।

তদন্তকারীদের জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর লস্কর–ই–তৈবার শীর্ষ জঙ্গিরা এবং পাক হ্যান্ডলাররা বাংলাদেশের নানা প্রান্তে বিচরণ করছে। পাকিস্তান–কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে হাওলার কারবার বন্ধ হয়েছে। এই রুটে অস্ত্রও এখন নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। রাজস্থান এবং পঞ্জাবের পাক সীমান্তেও একই অবস্থা। তাই তারা বেছে নিয়েছে বাংলাদেশকে। যাতে সহজেই সীমান্ত পারাপার করা যায়। সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জ, ক্যানিং, বাসন্তী, গোসাবা, বসিরহাট এবং হাসনাবাদ এলাকাকে বেছে নিয়েছে লস্কর–ই–তৈবার জঙ্গিরা। সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষ্টাল পুলিশের সঙ্গে রাজ্যের উচ্চ পুলিশ আধিকেরা আলোচনা করছেন। সুন্দরবন অঞ্চলে অনেক বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *