নিউজ ডেস্ক ::বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্বাসকষ্ট জানিত কারণে দিল্লির ‘এইমস’ ভর্তি করানো হয়। কিন্তু কয়েক ঘন্টার মধ্যেই রাত ৯. ২০ তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যুতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বন্ধ রাখা হয় রাষ্ট্রীয়স্তরে সব উদযাপন। মনমোহন ছিলেন নির্বিবাদী। তাঁর মৃত্যুতে মুছে গিয়েছে রাজনৈতিক ভেদাভেদ। গোটা দেশের একবাক্যে স্বীকারোক্তি, ভারতের অর্থনীতিকে বদলে দিয়েছিলেন ডঃ মনমোহন সিং। তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় গোটা দেশের রাজনৈতিক দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী থেকে দেশের উপরাষ্ট্রপতি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন সকলেই।
মনমোহন সিং ২০০৪ এবং ২০১৪, পরপর দু’টি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পিভি নরসিমহা রাওয়ের মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রী হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ১৯৯১ সালে ভারতে উদারীকরণের সূচনা করেছিলেন। যা ভারতীয় অর্থনীতিতে তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান বলে মনে করা হয়।
১৯৩২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর অবিভক্ত পঞ্জাবের গাহ্-তে শিখ পরিবারে জন্ম মনমোহনের, যা বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ। দেশভাগের পর ভারতের অমৃতসরে চলে আসে মনমোহনের পরিবার। সেখানে হিন্দু কলেজে ভর্তি হন তিনি। পঞ্জাব ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ইউনিভার্সিটি অফ কেমব্রিজে অর্থনীতি নিয়ে এর পর পড়াশোনা করেন। সেখান থেকে ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে নজির গড়েন। ইউনিভার্সিটি অফ অক্সফোর্টে DPhil করেন মনমোহন। দেশে ফিরে বেশ কয়েক বছর অধ্যাপনা করেন। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের বাণিজ্য এবং উন্নয়ন বিভাগে যোগ দেন। ১৯৮২ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর নিযুক্ত হন মনমোহন। দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তো বটেই, অর্থমন্ত্রী হিসেবেও ভারতের অর্থনীতিতে সংস্কার ঘটিয়েছিলেন মনমোহন। ১৯৯১ সালে দেশের রাজস্ব ঘাটতি যখন ৮.৫ শতাংশে, সেই সময় গোটা বিশ্বের সামনে ভারতের বাজার উন্মুক্ত করে দেন তিনি। আজ তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।