‘বাংলার বাড়ি প্রকল্প’ – একটি প্রতিবেদন

নিউজ ডেস্ক ::২০১১ সালে সরকার পরিবর্তনের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অনেক নতুন সেবা মূলক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বিশেষ করে কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পগুলো যে মুখ্যমন্ত্রীর ভোট ব্যাংক অনেক বাড়িয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। এবার সামনে এসেছে ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্প’।

কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে এর আগেই প্রচুর টানা-পোড়েন তৈরী হয়েছিল। সেই বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, সম্পূর্ণ রাজ্যের উদ্যোগে ও রাজ্য সরকারের খরচে করা হবে এই ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্প’। বাংলার যে প্রান্তিক মানুষদের মাথায় ‘ছাদ’ নেই, তাদের জন্যই এই প্রকল্প। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত ১২ লক্ষ মানুষকে এই প্রকল্পের অধীনে আনা হয়েছে। তাদের একাউন্টে ইতমধ্যে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ঢোকা শুরু করেছে। নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সবার একাউন্টেই প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকবে।

রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ আছে। এই বিষয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রী খুবই কড়া ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে মাইকিং করা হচ্ছে,”কোনও সরকারি অফিসার, কর্মী, জনপ্রতিনিধি বাংলার বাড়ি প্রকল্পে অর্থ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা চাইলে দেবেন না ৷ সরাসরি তা গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবেন ৷”

এছাড়াও শনিবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি টোল-ফ্রি হেল্প লাইন নম্বর চলো করেছে। নম্বরটি হলো -18008899451.
জানানো হয়েছে, বাড়ি প্রকল্প নিয়ে যেকোনো ধরনের অভিযোগ এখানে জানানো যাবে। বলা হয়েছে, কোনো রকম অসুবিধা হলে, উপভোক্তা যেন এই নম্বরে অভিযোগ জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *