নিউজ ডেস্ক ::নানা টানা পোড়েনের পরে ইউনুস সরকার বাধ্য হয়েই মুক্ত করলো ভারতের ৯৫ জন মৎস্যজীবীকে। এই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী ভারত সরকার নিয়মিত চাপ সৃষ্টি করেছিল ইউনুস সরকারের উপর। এবার বাংলাদেশের আদালত ভারতীয় মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে হওয়া সবকটি মামলা প্রত্যাহার ও তাঁদের মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে। আগামী দুই/এক দিনের মধ্যে এ রাজ্যের কাকদ্বীপ, নামখানার ৯৫ মৎস্যজীবী বাড়ি ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদী মৎস্যজীবী ইউনিয়ন। খুশির প্রবাহ মৎস্যজীবী পরিবারে। এক মৎস্যজীবীর স্ত্রী বলেন, “এই আড়াই মাস খুব উদ্বেগে ছিলাম। সন্তানরা কান্নাকাটি করত প্রত্যেকদিন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।”
ঘটনার সূত্রপাত অক্টোবর মাসে। কিছুটা দিকভ্রষ্ট হয়েই কিছু ভারতীয় মৎস্যজীবী ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশের জল সীমার মধ্যে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। আটক করা হয় ৬টি ট্রলার। বাংলাদেশের মোংলা ও কলাপাড়া থানায় মামলাগুলি দায়ের হয়। পটুয়াখালি ও মোংলা জেলে বন্দি ছিলেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। এরপর থেকে মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে আলাপ আলোচনা শুরু হয়। বাংলাদেশের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে মৎস্যজীবীদের আটক হওয়ার খবর পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নেন বলে জানান সতীনাথ পাত্র। বলেন, “বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে জানান। মৎস্যজীবীরা যাতে দ্রুত ছাড়া পান, সেই ব্যবস্থার জন্য আবেদন জানান।”এবার তারা নিজেদের ঘরে ফিরে আসছেন।