নিউজ ডেস্ক ::চিন দ্রুত সিক্সথ জেনারেশনের যুদ্ধ বিমান বানিয়ে চলেছে, যা পর্যাপ্ত সংখ্যায় নেই আমেরিকাতেও। দুটোই সিক্সথ জেনারেশন ফাইটার জেট বানিয়েছে চিন। এমনই দাবি করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। মুখে স্বীকার না করলেও চিনের এই জোড়া যুদ্ধবিমানে হতবাক আমেরিকাও। সে দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগ অর্থাত্ পেন্টাগনের কর্তারা মনে করছেন, আগামী ৫ বছরে চারশোরও বেশি সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান তৈরি করে ফেলবে চিন। সেটা ভারত, আমেরিকা সহ বিশ্বের অনেক দেশের কাছেই শঙ্কার কারণ।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অবিশ্বাস্য দ্রুততায় ফাইটার জেট প্রোডাকশন লাইন তৈরি করছে শি জিনপিংয়ের দেশ। এতটাই দ্রুত যে আমেরিকা আগামী ৫ বছরেও এর ধারেকাছে পৌঁছতে পারবে না।পেন্টাগনের না হয় চিনের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়ার ক্ষমতা আছে। ভারতের কী হবে? এই মুহূর্তে ভারতের হাতে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান, প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। চিন সিক্সথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান নামিয়ে দিল। অথচ ভারতের হাতে ফিফথ জেনারেশন যুদ্ধবিমান-ই নেই। রাফাল অত্যন্ত কার্যকর হলেও এটি ফোর পয়েন্ট ফাইভ জেনারেশন যুদ্ধবিমান। ভারতীয় বায়ুসেনায় ৪২ স্কোয়াডেন যুদ্ধবিমান প্রয়োজন। এখন আছে ৩১ স্কোয়াডেন যুদ্ধবিমান।
২০২১ সালে ৮৩টি তেজস মার্ক ওয়ান এ বিমানের বরাত দেয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক। এর আগে আরও ৯৭টি যুদ্ধবিমানের বরাত দেওয়া হয়েছিল। ২০২৩-এর শেষে প্রথম যুদ্ধবিমান হাতে আসার কথা ছিল। কিন্তু এক বছর পরও পরেও একটিও বিমান হাতে পায়নি সেনা। চলতি বছর দিপাবলির আগে সুখোই যুদ্ধবিমানের আধুনিকীকরণে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র।সেই কাজ সবে শুরু হয়েছে। ব্রহ্মস বহন করতে সক্ষম আপগ্রেডেড সুখোই হাতে আসতে আসতেও সেই ২০২৭ বা ২০২৮ সাল। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তার বক্তব্য, বিদেশি কোম্পানি এখানেই বিমান তৈরি করবে এবং তাতে ভারতীয় যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক – এটাই কেন্দ্রের নীতি। এই পথে না চললে আমরা কোনওদিন প্রতিরক্ষায় স্বনির্ভর হতে পারব না।