‘আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বড়ো মাথা রয়েছে’ – মালদা কাণ্ডে নরেন্দ্রনাথ

নিউজ ডেস্ক ::তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও হচ্ছে হাতাহাতি, মারামারি এমনকি খুন। মালদা কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী পুলেসের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করায় পুলিশ তৎপর হয়ে মালদা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে। বুধবার আদালতে নিয়ে যাবার সময় তিনি চিৎকার করে বলেন,”বড় মাথা রয়েছে। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। বড় মাথার বিপদ।” স্বভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে কে এই বড়ো মাথা? স্বামীর খুনে বড় মাথার যোগের কথা বলেছিলেন দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এলাকায় ক্ষমতায় নিয়েই এই খুন। মালদহের ভবনী মোড় এলাকা থেকে জ্বলজলিয়া, মহানন্দাপল্লি সার্বিক এলাকা ‘সোনার খনি’ হয়ে উঠছিল। সেখানে বড় বড় কমপ্লেক্স, শপিং মল, রেস্তোরাঁ তৈরি হচ্ছিল। নজর পড়েছিল প্রমোটারদের। যাঁদের পিছনে বড় বড় নেতা রয়েছে। ওখানে আছে লাখ লাখ টাকা। তাই নেতাদের সকলের লক্ষ ওই দিকে।

পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, এটা রাজনৈতিক খুন নয়। এর পিছনে আছে টাকার খেলা। প্রচুর টাকা ঘুরে বেড়াচ্ছে ওই অঞ্চলে। শাসক দলের পদ পেলেই চলে আসবে লাখ লাখ টাকা। চৈতালি বলেন, “দুলালের মাথায় গুলি করার জন্য যে দুঃসাহসের প্রয়োজন, তার পিছনে অনেক বড় মাথারই থাকার কথা। আরও যদি কোনও মাথা থেকে থাকে, সেটা সামনে আসুক। নেত্রীর ওপর ভরসা রয়েছে। আমার তো অনেকেরই কথা মনে হচ্ছে। পুলিশ সেটা বার করবে।” উল্লেখ্য, এই খুনের নেপথ্যে থাকতে পারেন নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি, সে সন্দেহ ছিল খোদ ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর। তিনি বলেছিলেন, “দুলালকে মারবই বলেছিলেন নরেন্দ্রনাথ। আমাদের পৌরসভা ভোটের পরই নরেন্দ্রনাথ অনেককে বলেছিল, আমি দুলাল সরকারকে মারবই।” এখন দেখার পুলিশের তদন্ত কতদূর যায়?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *