নিউজ ডেস্ক ::মানুষ এখন যথেষ্ট খাদ্য সচেতন। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে, আপনার মোট খাদ্যের অন্তত ২৫ শতাংশ শাক-সবজি হওয়া উচিত। সেই কারণেই মানুষ শাক-সবজির দিকে ঝুঁকেছেন। এই পরিস্থিতিতে চিন দেশ থেকে আসা ‘পাক চই’ শাকের চাহিদা বাড়ছে। মানুষ ক্রমশ পরিচিত হচ্ছে এই শাকের সঙ্গে। গত কয়েক বছর আগেও চিনের এই সবজির দেখা মিলত না বাংলায়। তবে গত দুই এক বছর ধরে মালদহে চাষ শুরু হয়েছে চিনের পালং শাক ‘পাক চই’। যদি আপনার সামান্য কিছু জমি থাকে তাহলে এই শাকের চাষ করে ভালো লাভ করতে পারবেন। বর্তমানে মালদায় এই চাষ খুবই লাভজনক ও কৃষিবন্ধু হয়ে উঠেছে। এবছর মালদহে বৃদ্ধি পেয়েছে চাষ। পুরাতন মালদহের একাধিক কৃষক এই বছর পালং প্রজাতির এই চিনের পাক চই চাষ করছেন। এমনকি বাজারে বিক্রিও হচ্ছে। পাক চই মূলত শীতকালীন সবজি।
আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে হয় স্থানীয় কৃষি দপ্তরে অথবা মালদার সেই কৃষকদের সঙ্গে যারা এই শাকের চাষ করে লাভবান হচ্ছে। দেশীয় শীতের সবজি চাষের পদ্ধতিতেই বিদেশি এই শাক চাষ করা যায়। পাক চই মূলত চিনের সবজি। চিনের পালং শাক বলা যায় এই সবজিকে। দেখতে অনেকটা পালং শাকের মতো। এই সবজি খেতেও অনেকটা পালং শাকের মতো। স্থানীয় পালং শাকের সঙ্গে অনেকটাই মিল চিনের এই পাক চই শাকের। বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এখন এই সবজি চাষ হচ্ছে। ফলে অনেকেই এই সবজি খাচ্ছেন। মূলত রেস্টুরেন্ট গুলিতে এই সবজির ব্যাপক চাহিদা। তাই বিদেশি এই সবজির চাহিদাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে মালদহে। এই বাজার ধরতেই পুরাতন মালদহের কৃষকেরা পাক চই চাষ শুরু করেছেন। কৃষক ভাস্কর রাজবংশী বলেন, “গত দুই বছর ধরে চাষ করছি চিনের এই সবজি। মানুষ এই সবজির সঙ্গে পরিচিত হলে আরও চাহিদা বাড়বে। এখন বাজারে ভাল বিক্রি হচ্ছে।” তাই কৃষি দপ্তর মানুষকে এই শাক চাষে উৎসাহিত করছে।