নিউজ ডেস্ক ::৯৫ জন মৎস্যজীবী ভারতে ফিরেছে। শেয়ার করেছে বাংলাদেশের জেলে তাদের অভিজ্ঞতার কথা। সে এক নির্মম অত্যাচারের কাহিনী। গত বছর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে ৬টি ট্রলারে চড়ে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন কাকদ্বীপের ৯৬ জন মৎস্যজীবী। আন্তর্জাতিক জল-সীমানা লঙ্ঘনের অভিযোগে তাঁদের গ্রেফতার করে ইউনূস সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের ইউনূস সরকার যে কতটা নির্মম হয়ে উঠেছে, এই সাধারণ ভারতীয় মৎস্য়জীবীদের ওপরও তারা আক্রোশ দেখাতে ছাড়েনি। বাংলাদেশ থেকে মুক্ত ভারতীয় মৎস্যজীবী সুভাষ দাস বলেন, “মারতে মারতে আমার এগুলো ফাটিয়ে ফেলে। কোমর ফাটিয়ে ফেলে। গাল দিয়ে রক্ত বেরিয়ে যায়। লাথি মারছে বুট দিয়ে।” সে যেন এক নির্মম প্রতিশোধের আনন্দে ওরা নাচতে থাকে।
আরেক মৎস্যজীবী গোপাল মান্না বলেন, “ডিসেম্বরের ২০ তারিখ আমাদের ধরেছিল। তারপর পিছমোড়া করে বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর ওদের দেশের নৌবাহিনী আমাদের মাছগুলো নিয়ে চলে যায়।” এখানেই শেষ নয়, বরং এটা ছিল শুরু। আর তারপরই শোনালেন বাংলাদেশে আটকে থাকাকালীন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। জানালেন, “নগ্ন করে আমাদের মারা হয়েছে। সেই ছবিও তোলা হয়েছে।” আরও বললেন, “শেখ হাসিনাকে ভারতের মা বলে বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়েছে।” তাদের বলে, তোদের মা আর আসবে না এই দেশে। সে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তিনি এও বললেন, “আমাদের আগে যাঁদের ধরেছে তাদের তো বেদম মেরেছে। এত মেরেছে যে পায়খানার সঙ্গে রক্ত বের হতো।” সেই ভয়াবহ স্মৃতি তারা কিছুতেই ভুলতে পারছে না।