নিউজ ডেস্ক ::বর্তমানে বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ ইউনুস যদিও একজন অর্থনীতিবিদ, কিন্তু ২০০৬ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। গরিবের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ও গ্রামীণ ব্যাংকের সাফল্যে উন্নত বিশ্ব এমন কি যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য শিল্পোন্নত দেশসমূহকে এই মডেল ব্যবহার করতে উদ্বুদ্ধ করেন মহম্মদ ইউনুস। অধ্যাপক ইউনূসের গ্রামীণ ব্যাংকের এই কার্যক্রম বিস্তৃতি লাভ করলে ২০০৬ সালে যৌথভাবে নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন অধ্যাপক ইউনূস ও তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক। তারপরে পদ্মা ও মেঘনা দিয়ে বহু জল প্রবাহিত হয়েছে। এই বছর ৫ আগস্ট হাসিনা দেশ ছাড়ার পরে আমেরিকা থেকে তাঁকে নিয়ে এসে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী করা হয়।
মহম্মদ ইউনুস তা গ্রহণ করেন আনন্দের সঙ্গে। এর পরেই বাংলাদেশের পরিবেশ বেশ উত্তপ্ত হতে থাকে। বাংলাদেশের যে কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছিল তা দিক পরিবর্তন করে হয়ে ওঠে ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী আন্দোলন। শুরু হয় হিন্দুদের উপর নির্যাতন। ধীরে ধীরে বোঝা যায় ওই নিখাদ ছাত্র আন্দোলনের রাশ চলে গেছে পকিস্তানপন্থী কিছু ধৰ্মীয় মৌলবাদীদের হাতে। ইউনুস নিতান্তই পুতুলের পরিনত হন।
কিন্তু পরে বোঝা যায় যে, মৌলবাদীদের আন্দোলনের পিছনে ইউনুসের প্রচ্ছন্ন মদত আছে। কারণ যখন তাঁর মন্ত্রীসভার সদস্যরা বাংলা, বিহার, উড়িস্যা দখলের কথা বলেন বা ভারতের সেভেন সিস্টারকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলেন, তখন মহম্মদ ইউনুসের নীরবতায় প্রমাণ করে তিনি মৌলবাদীদের সঙ্গে আছেন। আবার এরই মধ্যে পাকিস্তান থেকে প্রচুর মারনাস্ত্র কেনার চুক্তি সম্পাদন করে ফেলেছেন তিনি। চট্টগ্রামে যুদ্ধ বিমানের মহড়া হয়েছে তাঁর উপস্থিতিতে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, তাদের সিপাইরা যুদ্ধ জয়ের জন্য লড়াই করবে। প্রশ্ন উঠেছে, কোন যুদ্ধ জয়? ভারত তো কোনো যুদ্ধের ডাক দেয় নি। বরং ভারত এখনও তাদের চাল, আলু সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে চলেছে। ইউনুস কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? হঠাৎ করে পাকিস্তান ও চিনের পররাষ্ট্র দপ্তরের আধিকারিকরা কেন ইউনুসের সঙ্গে সভা করলেন? কেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি একান্ত মিটিং করেন?
শেষ পাওয়া খবরে ইউনুস তাদের জাতির জনক মুজিবর রহমানের সমস্ত স্মৃতি মুছে ফেলছেন। অথচ মুজিবর রহমান ও ভারত না থাকলে বাংলাদেশ এখনও ‘পূর্ব পাকিস্তান’ হয়েই থাকতো। বিশ্ব কূটনৈতিক মহল মনে করেন, ইউনুসের নেতৃত্বে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে একটা যুদ্ধের জিগির চাপিয়ে দিয়ে ভারতকে আশান্ত করতে চাইছে পাকিস্তান ও চিন। আমরাও মনে করি ইউনুস শুধুই হিন্দু বিদ্বেষী নয়, তিনি চূড়ান্ত ভারত বিদ্বেষী। তিনি শান্তির পক্ষে মোটেও নন, তিনি আসলে অশান্তির পক্ষে। তাই তাঁর দেশের মধ্যে আওয়ামিলীগের কেউ কেউ তাঁর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার কেড়ে নেবার কথা বলেছেন। এই মুহূর্তে ইউনুস শান্তিপ্ৰিয় নন, বরং বলা চলে মহম্মদ ইউনুস আসলে একজন অশান্তি প্ৰিয় মানুষ।