নিউজ ডেস্ক ::পুলিশ চেষ্টা করলে পারে না তা হয় না। দুলাল সরকার খুনের কয়েক দিনের মধ্যেই পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় সকলেই। একটা তথ্য পুলিশের সামনে এসেছে, তাহলো অন্তত এক বছর আগের থেকেই দুলালকে সরাতে চাইছিল তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা। তার মধ্যে অন্যতম নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। অবশ্য তিওয়ারি জানাচ্ছে, অনেক বড়ো নেতা এই খুনের পিছনে আছে। আসলে খুনের পরেই পুলিশ সোর্স মারফৎ খবর নিতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শুরু হয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখার কাজ। তার মধ্যেই একের পর এক খবর আসতে শুরু করে পুলিশের কাছে। এসবের মধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়ে একের পর এক সুপারি কিলার। আর সেখান থেকেই বড় তথ্য পায় পুলিশ। বড় চক্রী নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি।
সকলের কল লিস্ট দেখে পুলিশ বুঝতে পারে গত এক বছর ধরে দুলাল সরকারকে খুনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। পুলিশ জানিয়েছে ৫০ লাখ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ভাড়াটে খুনিদের মাধ্যমে অপারেশন সফল করার ছক কষা হয়েছিল। পথের কাঁটা দূর করার ছক! কিন্তু কেন? এখানেই উঠে এসেছে নানা কথা। বলা হচ্ছে ওই অঞ্চল এখন টাকার খানি। ক্ষমতা যার হাতে টাকাও তার হাতে। তৃণমূলের স্বপন ও নন্দু ছিল সামনে। নরেন্দ্র পিছনে। একসময় বাবলা সরকার ঘনিষ্ঠ ছিল এমন দুজনকেও টিমে নেওয়া হয়। এদিকে নন্দুর কললিস্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পারে খুনের ঘটনার পরে এক সুপারি কিলার ফোন করেছিল নন্দুকে। কারণ যার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে তাকে তো জানাতেই হবে অপারেশন সফল। আর সেই ফোনই কার্যত কাল হল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারির কাছে। শুধুই ‘টাকা’ আর ‘তোলা’ শব্দ দুটো এমন বহু তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন নাগরিক মহলে থেকেই গেছে যে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, দুলালের বডি গার্ড তুলে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কার নির্দেশে? সেই প্রশ্নের উত্তর মুখ্যমন্ত্রী সহ কেউ কিন্তু দিচ্ছেন না। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, এর পিছনে আছেন রাজ্যের এক মন্ত্রী।