আরাবুল ও শান্তনুকে বহিস্কার করলো তৃণমূল

নিউজ ডেস্ক ::তৃণমূল কংগ্রেসের সাসপেন্ড নিয়ে অবশ্য বিতর্ক কম নেই। যত দ্রুত সাসপেন্ড করা হয় ততই দ্রুত আবার দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। এবার অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সাসপেন্সনের খবর দিয়েছেন জয়প্রকাশ নারায়ন। ভাঙড়ের ‘তাজা নেতা’ আরাবুল ইসলামকে এর আগেও সাসপেন্ড করে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে এক আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে আরাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার পরেই আরাবুলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় দল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সাসপেনশন তুলে নেওয়া হয় দলের তরফে। গত কয়েকদিন ভাঙড়ের রাজনীতিতে ফের প্রকাশ্যে আসে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা ও আরাবুলের দ্বন্দ্বের বিষয়টি। এর মাঝেই ফের আরাবুলকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিল দল। এবার আবার কবে তাকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নাগরিক মহলে।

আবার আর জি কর কান্ড নিয়ে সরকার বিরোধী মন্তব্যের জন্য অনেকদিন আগেই ডাঃ শান্তনু সেনের উপর ক্ষুব্ধ ছিল দল। এবার বহিস্কার। আরজি কর কাণ্ডের পরেই বেশ কিছু মন্তব্যের কারণে চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনকে মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের পদ থেকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দলের অভ্যন্তরে বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি কোণঠাসা হয়েছিলেন বলে দাবি করেন অনেক নেতাই। তাঁকেও সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত জানাল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনু সেন বলেছেন, তিনি কখনোই দলের বিরুদ্ধে যাবেন না। কখনো যান নি। শুধু বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভুল সংবাদ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *