মহাকুম্ভ – পুরানের কিংবদন্তি

নিউজ ডেস্ক ::এ বছর মহাকুম্ভ। ১২ বছর পর পর হয় মহাকুম্ভ ও ৬ বছর পর পর হয় অর্ধ কুম্ভ। কিন্তু কেম ১২ বছর পর পর মহাকুম্ভ হয়? তা নিয়ে মনে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। সেই উত্তরের খোঁজে আমাদের যেতে হবে পুরানের এক গল্পে।
মহাকুম্ভ সংক্রান্ত পৌরাণিক কাহিনিতে কথিত আছে, এটি সমুদ্র মন্থনের সঙ্গে যুক্ত। যে সময় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে অমৃত প্রাপ্তির জন্য প্রচণ্ড যুদ্ধ হচ্ছিল, তখন নারায়ণ মোহিনী রূপ ধারন করে একটি অমৃত কলস নিয়ে উঠে আসেন। এরপর অসুররা অমৃত কলস দখল করে নিলে বিষ্ণু মোহিনী রূপে সেই কলস ফিরিয়ে আনেন। সেই সময় অমৃত পানের মধ্যে অসুর ও দেবতাদের মধ্যে লড়াই তীব্র আকার ধারন করতে থাকে। তা দেখে দেবরাজ ইন্দ্রের ছেলে জয়ন্তর হাতে অমৃতের কলস তুলে দেন বিষ্ণু। এরপর জয়ন্ত কাকের রূপ ধরে কলসটি নিয়ে উড়ে যান। তা দেখে অসুররা তাঁকে ধাওয়া করতে গিয়ে তাড়াহুড়োতে কয়েক ফোঁটা অমৃত চারটি জায়গায় পড়ে। এই চারটি জায়গা হল – প্রয়াগরাজ, উজ্জয়িন, হরিদ্বার ও নাসিক। এই চার জায়গায় কুম্ভমেলা আয়োজিত হয়।

শাস্ত্র অনুযায়ী, প্রয়াগরাজকে তীর্থরাজ বলা হয়। এ বিশ্বাসও রয়েছে যে, ব্রহ্মা এখানে প্রথমে যজ্ঞ করেছিলেন। ধর্মীয় গ্রন্থেও এর উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী ১২দিন অমৃত পাওযার জন্য দেবতা ও অসুরদের মধ্য প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়েছিল। এই ১২ দিন একজন মানুষের কাছে ১২ বছরের সমান। তাই প্রতি ১২ বছরে একবার মহাকুম্ভের আয়োজন করা হয়। প্রয়াগরাজে এ বারের মহাকুম্ভ আয়োজনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি শেষের পথে। ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু মহাকুম্ভ।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে ২৬ ফেব্রুয়ারি অবধি চলবে মহাকুম্ভ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *