হুগলীর তিন অদ্ভুত চোরের কাহিনী

নিউজ ডেস্ক::তিন জনেই একেবারে প্রতিষ্ঠিত চোর। জেল খেটেছে একাধিকবার। তবে এই তিন চোরের একটা নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য আছে। যেখানে তারা রাতে চুরি করতে যেতো সেই বাড়িতেই ফ্রিজ থেকে ডিম বের করে আগে ওমলেট বানিয়ে খেত।
পুলিশ জানিয়েছে, এরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চুরি করত গত ১৫ বছর ধরে। চুরির আগে এলাকায় গিয়ে ডেরা বেঁধে রেইকি করতো। ফাঁকা বাড়ির সন্ধান পেলে সেখানে হানা দিতো। চুরির আগে ডিম রান্না করে খেতো। ফ্রিজ তালাবন্ধ থাকলে সেটা ভেঙে ডিম বের করে রান্না করে খেতো। পিন্টুও পলাশ মূলত চুরি করতো। তাদের এক সঙ্গী চোরি সোনা-গয়না বাজারে বিক্রি করতো। তারপর তিনজনে তা ভাগ করে নিতো। এভাবেই চলছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, বড়নীলপুরের বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী মৃত্যঞ্জয় দাস ১ জানুয়ারি বিকেলে বাড়িতে তালা দিয়ে সপরিবারে শহরেরই কাঞ্চননগরে শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। পরদিন দুপুরে বাড়ি ফিরে দেখেন তালা ভেঙে সর্বস্ব চুরি গিয়েছে। চুরির সময় ঘরে থাকা অনেকগুলো ডিম রান্না করেও খেয়েছে চোরের দল। যাওয়ার সময় তাঁদের স্কুটিটাও নিয়ে যায়। যদিও সেটি চোরের দল বর্ধমান স্টেশনের কাছে ফেলে গিয়েছিল। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে থানায় রেখেছিল। পরদিন থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে স্কুটিটি দেখে অবাক হয়েছিলেন মৃত্যঞ্জয়বাবুরা। পরে তদন্তে নামে পুলিশ। ধরেও ফেলে দুজনকে। তৃতীয় জনের খোঁজ চলছে। বড়নীলপুরের চুরির মাল স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে পুলিশ। পিন্টু ও পলাশ শরীর মজবুত রাখতে নিয়মিত জিমে যায়। খবরের কাগজও পড়ে। কিছুদিন আগে শেওড়াফুলিতে চুরি করতে গিয়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে প্রায় ধরা পড়ে গিয়েছিল। হাতে থাকা রড দিয়ে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের চোখে খোঁচা মেরে পালিয়েছিল পিন্টু।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *