নিউজ ডেস্ক ::হাসিনা অধ্যায় শেষ হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশে বেড়ে চলেছে সংখ্যালঘু নিপীড়ন। সেই ক্ষেত্রে প্রধান আক্রমন হিন্দুদের উপর হলেও বাদ যায়নি খ্রিস্টান ও বৌদ্ধরা। এই নিয়ে ওই দেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে পুলিশের পরিসংখ্যানের পার্থক্য বিস্তর। এই আবহে সম্প্রতি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ৪ অগস্ট থেকে বাংলাদেশে ১৭৬৯টি সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনার শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘুরা। এর মধ্যে মামলা হয়েছে মাত্র ৬২টি ক্ষেত্রে। আর ধরা পড়েছে ৩৫ জন। এরই মাঝে বাংলাদেশের পুলিশের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের ওপরে এই সব হামলার অধিকাংশই রাজনৈতিক কারণে হয়েছে। তারা স্বীকার করেন নি যে এই হামলা সাম্প্রদায়িক কারণে হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই দেশকে ‘ইসলামিক রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার কথাও কারো কারো মুখে শোনা গেছে।
এদিকে পুলিশ বলছে, সংখ্যালঘুদের হামলার ক্ষেত্রে ৫৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এবং এখনও পর্যন্ত ৬৫ জনকে গ্রেফতার করাহয়েছে। আর ৪ অগস্ট থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ১১৫টি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং ১০০ জনের বেশি জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে একাধিক হিন্দু মন্দিরে লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বহু জায়গায় হিন্দুদের বাড়িতে গিয়ে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এমনকী পুলিশ এবং সেনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছিল চট্টগ্রামে। এরই মাঝে গত ১ জানুয়ারি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলায় শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু সেবাশ্রম মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয় এবং লুটপাট চালানো হয়। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি যে খুব খারাপ তাতে সন্দেহ নেই।