নিউজ ডেস্ক ::সোমবার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সাংবাদিক সম্মেলন করার পরেই মাঠে নেমেছিলেন তৃণমূলের কুনাল ঘোষ। তার স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল এই ঘটনার পিছনে ওই প্রসূতি বিভাগের জুনিয়র ডাক্তারদের হাত আছে। এবার সেই বিষয় নিয়েই মাঠে শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে এই ঘটনার জন্য স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছেন তিনি। সমাজ মাধ্যমে শুভেন্দু লিখেছেন, “স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম গোটা ঘটনার দায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের স্ত্রীরোগ বিভাগের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টায় রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। যে ভাবে তারা গাফিলতি শব্দটি বারবার বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে জুনিয়র ডাক্তারদেরও বলির পাঁঠা করার মতলবে রয়েছেন তাঁরা।” কিন্তু শুভেন্দুর এই অভিযোগের কারণ কি? সেই নিয়েই তিনি ব্যাখ্যা দিয়েছেন সমাজ মাধ্যমে।
শুভেন্দু জানান, উৎপাদন নিষিদ্ধ করার পরও ১ মাস ধরে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের তৈরি রিঙ্গার ল্যাকটেটের ব্যাবহার চালিয়ে যাওয়ার পিছনে কারও হাত নিশ্চই আছে। তিনি মুখ্যসচিবকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে লেখেন, “আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ করছি ৭ জানুয়ারি ২০২৫এর আগে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাস্যুটিক্যালসের রিঙ্গার ল্যাকটেট ব্যবহার বন্ধ করতে জারি করা কোনও একটা নির্দেশিকা আমাকে দেখান। কর্ণাটকে রোগীমৃত্যুর পর গত ১৩ ডিসেম্বর সেরাজ্যের সরকার যখন সতর্ক করেছিল তার পর থেকে এতদিন আপনারা কী করছিলেন? এটা স্বাস্থ্যসচিব ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়। তাদের গাফিলতি।”
