মালদায় ফের খুন তৃণমূল কর্মী

নিউজ ডেস্ক ::মালদা আছে মালদাতেই। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল হোক বা ব্যক্তিগত কারণে হোক, মালদায় অপরাধীদের হাতে যেন অস্ত্রভান্ডার! মঙ্গলবার সকালে আবার ঘটলো মর্মান্তিক ঘটনা। মঙ্গলবার সকালে কালিয়াচকের নওদা-যদুপুর অঞ্চলের সালেপুর এলাকায় ড্রেন ও রাস্তার উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ। সেখানে দলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরাও ছিলেন। আচমকা চার-পাঁচজন সেখানে হাজির হন। বকুল শেখকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী হাসা শেখও। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। জখম হন প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান এসারউদ্দিন শেখও। মুহূর্তে ছড়িয়ে পরে উত্তেজনা। প্রাথমিকভাবে মানুষ ভয় পেয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয়।

প্রসঙ্গত মাত্র ১২ দিন আগে এই মালদাতেই খুন হয়েছিলেন মালদহের তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকার। সেই নিয়ে তীব্র উস্মা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হাসা শেখের দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। বাকি দুজনকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মালদহ মেডিক্যালে। কিন্তু কেন বার বার করে এই ঘটনা ঘটছে? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনার পিছনে তৃণমূল কর্মী জাকির শেখ। তাঁর নির্দেশেই নাকি এদিন হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কিন্তু কেন? তৃণমূলেরই একাংশের দাবি, গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড। কিন্তু ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর দাবি, গোষ্ঠীকোন্দল নয়, এই হামলার কারণ অন্যকিছু। বাংলাদেশিরা হামলা চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। কিন্তু নাগরিক মহল মনে করছে এর পিছনেও আছে সেই সেলভার টনিক -‘টাকা’ বা ‘তোলা’! ক্ষমতা যার হাতে তোলা তার হাতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *