নিউজ ডেস্ক ::সকাল থেকেই প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে কোচবিহারের হরিণ চওড়া এলাকায়। খবরে প্রকাশ, গত বৃহস্পতিবার হরিণচওড়া বাঁধের এলাকায় পুলিশের গাড়ির চালকের সঙ্গে তাঁদের পরিবারের সদস্য আমজাদ আলির কোনও এক বিষয় নিয়ে বচসা বাধে। এরপরেই দেখা যায় শুক্রবার রাত প্রায় বারোটার পর হঠাৎই প্রচুর সংখ্যক পুলিশ আমিয়া বিবির বাড়িতে এসে চড়াও হয়। পুলিশ এসে নির্মম মারধর করে গ্রেফতার করে বাড়ির তিন পুরুষ সদস্য আমজাদ আলি, তাঁর ভাই এমজাদ আলি ও তাঁর বাবা হাফেজ আলিকে। অভিযোগ তখন বাঁধা দিতে গেল বাড়ির মহিলাদের মারধর করা হয়।
তারপরেই মৃত্যু হয় অমিয়া বিবির (৫৫)। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশের মারেই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। প্রতিবাদে চলল পথ অবরোধ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা কোচবিহারের হরিণ চওড়া এলাকায়। অভিযোগ এই পরিবারেরই তিনজনকে গতকাল রাতে আটক করে নিয়ে যায় স্থানীয় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশের মারের চোটেই মৃত্যু হয়েছে আমিয়ার। দাবি পরিবারের সদস্যদের। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজনও। সকলেই বলছেন শাস্তি চাই পুলিশের। এই দাবিকে সামনে রেখেই পথ অবরোধও করেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
