নিউজ ডেস্ক ::ব্যাপারটা একটু পরিষ্কার করা দরকার। আসল কথা হলো বাংলায় বিজেপির শক্তি বৃদ্ধির পরে তৃণমূল ও বিজেপির নেতা কর্মীরা মাঝে মাঝেই জামা পরিবর্তনের মতো দল পরিবর্তন করেন। আর তা করাতে গিয়ে এবার মুখ পুড়লো তৃণমূলের। শনিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবী চৌধুরানী সভাকক্ষে রাজগঞ্জ ব্লক মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ছিল দীক্ষা কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতেই রাজগঞ্জ ব্লকের বহু মহিলা কর্মী-সমর্থকেরা অংশগ্রহণ করেন। এখানেই রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের হাত ধরে পানিকৌরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮/৯৭ ডাঙ্গাপাড়া বুথের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য কল্পনা বর্মণ বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। কিন্তু তার পরেই খেলা ঘুরিয়ে দিলো বিজেপি। একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন সেই কল্পনা বর্মন।
যেখানে রাজনীতিতে কোনো আদর্শ থাকে না, সেখানে এটাই হয়। ২ ঘন্টার মধ্যেই পঞ্চায়েত সদস্য কল্পনা বর্মণ ও বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য দেবাশিস দে উভয়েই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন কাজের প্রলোভন দেখিয়ে মিটিংয়ে নিয়ে গিয়ে জোর করে তৃণমূল কংগ্রেসের ঝাণ্ডা হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। উনি বিজেপিতে ছিলেন সেখানেই আছেন। কাজের প্রলোভন দেখিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর অভিযোগ উড়িয়ে দেন ঘাসফুল শিবিরের রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আবার লিখিত আবেদন পত্র দেখিয়ে বলেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য নিজেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার আবেদন করেছিলেন। সেই ভিত্তিতেই যোগদান করানো হয়। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির দুষ্কৃতকারীরা তাকে চমক ধমক দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করাচ্ছেন। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন বলে জানাচ্ছেন। আর বঙ্গবাসী রসিকতা করে বলছেন -‘এ খেলা চলবে নিরন্তর।’
