নিউজ ডেস্ক ::আজ, সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথ নিতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর সঙ্গে সঙ্গে অনেকটাই উদ্বেগ বেড়েছে বাংলাদেশের। অংকের হিসাবটা খুব জটিল নয়। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে খুবই খারাপ সম্পর্ক ছিল শেখ হাসিনার। তাই ধরে নেওয়াই যায় যে ট্রাম্প কিছুটা হলেও হাসিনাকে সমর্থন করবেন। নয়াদিল্লির সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। যদিও বাণিজ্য ও শুল্কের বিষয়ে বাধা আসতেই পারে। কিন্তু নতুন ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের বিষয়ে কী বিবৃতি রাখে সেদিকে আপাতত গভীর নজর রয়েছে ভারত-সহ দক্ষিণ এশিয়ার বহু দেশের। আসলে গত নভেম্বরে ট্রাম্পের জয়ের পরই উদ্বেগ বেড়েছে বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের। প্রথমবার ট্রাম্পের জয়ের পর সেটিকে ‘গ্রহণ’ বলে খোঁচা দিয়েছিলেন ইউনুস। তিনি সেবার হিলারি ক্লিনটনের প্রচারে বিনিয়োগ করেছিলেন। ফলে এবার যখন কার্যতই ইউনুসের হাতে রয়েছে বাংলাদেশের দায়িত্ব, সেই সময় ট্রাম্প নতুন করে ক্ষমতায় ফিরলে চাপ বাড়তেই পারে বাংলাদেশের উপরে।
গভীর উদ্বেগে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই এমন কথাও শোনা গিয়েছিল, ক্ষমতায় এলে ট্রাম্প প্রশাসন হয়তো হাসিনা সরকারকেই ‘বৈধ’ বলে স্বীকৃতি দিতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিটি অলি-গলি এবং আমজনতার মধ্যেও জল্পনা, ট্রাম্পের হাত ধরেই হয়ত মসনদে ফিরতে পারেন হাসিনা। আপাতত তাই সোমবারের দিকেই চোখ ওয়াকিবহাল মহলের। ট্রাম্প শপথ নিতেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে পারেন বলে গুঞ্জন। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন নীতিও সেই তালিকায় থাকতে পারে, এমন জল্পনা তুঙ্গে। আরও একটা কারণে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ ইউনুস সরকারের উপর। তাহলো ভারত বিরোধিতার জন্য ইউনুস সরকার পাকিস্তানের মতো চিনের হাত ধরেছে – যা মোটেই পছন্দ নয় আমেরিকার। এখন দেখার বিষয়টা কোন দিকে যায়।
