নিউজ ডেস্ক ::’মৃত্যু’ শব্দটাই দুঃখের। তা কোনো সাধারণ মানুষ হোক বা কোনো সন্ত্রাসবাদীর । কিন্তু দেশের নিরাপত্তার কারণে সরকারকে প্রতি আক্রমনে যেতে হয়। দিনের পর দিন ছত্তিশগড় হয়ে উঠছিলো মাওবাদীদের আস্তানা – যা সাধারণ মানুষের কাছে খুবই বিপজ্জক। তাই সরকারকে পদক্ষেপ নিতেই হবে। ওড়িশা সীমান্ত লাগোয়া গরিয়াবান্দ জেলায় টানা ৩৬ ঘণ্টার অভিযানে ১৫ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি সূত্রের খবর, এই অভিযানে মৃতের তালিকায় এমন এক মাওবাদী রয়েছে যার মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র। ওড়িশা পুলিশ ও ছত্তিশগড় পুলিশের পাশাপাশি আধাসেনার প্রায় ১০টি আলাদা আলাদা বাহিনী এই অভিযানে অংশ নেয়। নির্দিষ্ট এলাকা ঘিরে ফেলে মাওবাদীদের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি অভিযানে। নিরাপত্তাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালাতে শুরু করে আততায়ীরা। পালটা জবাব দেয় নিরাপত্তাবাহিনী।
টানা প্রায় ২দিন ধরে চলে এই গুলির লড়াই। গুলির লড়াই চলাকালীন সোমবারই দুই মাওবাদীর দেহ জঙ্গলের মধ্যে পাওয়া গিয়েছিল। নিহতেরা নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র বাহিনী পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মির সহযোগী দলের সদস্য ছিল। মঙ্গলবার সকালে আরও ১৫ জন মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। মৃত মাওবাদীদের তালিকায় রয়েছে সেন্ট্রাল কমিটির সদস্য মনোজ ও স্পেশাল জোনাল কমিটির সদস্য গুড্ডু। এই মনোজের মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা ও গুড্ডুর মাথার দাম ২৫ লক্ষ টাকা ছিল বলে জানা যাচ্ছে। মাওবাদীদের সেন্ট্রাল কমিটির আরও এক সদস্য জয়রাম ওরফে চলপতির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এরও মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। দামের হিসাব করবেন অংক বিশারদরা। কিন্তু মানবিকতা বলে, ওরাও আমার দেশেরই সন্তান।
