নিউজ ডেস্ক ::CBI কোনো অজ্ঞাত কারণে পশ্চিমবঙ্গে সঠিক তদন্ত করছে না, এই অভিযোগ বিরোধীদের। এবার বাস্তবিক তাতেই সিলমোহর দিলো আদালত। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির নথি কোথায়? এই প্রশ্নই কালঘাম ছুটিয়ে দিল সিবিআই অফিসার থেকে আইনজীবীদের। কারণ অভিযুক্তদের কাছে উপযুক্ত নথি দিতে পারেনি সিবিআই। যা চরম ব্যর্থতার সামিল। এমনটা যে হতে পারে তা কেউ কল্পনাও করতে পারছেন না। আর এই মামলায় এমন বিষয় প্রকাশ্যে আসায় আদালতে চরম ভর্ৎসিত হল সিবিআই। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছিল সিবিআই। আর তার জেরে গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে একাধিক ব্যক্তি। কিন্তু তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় নথি সঠিক সময়ে দিতে পারেনি সিবিআই বলে অভিযোগ। বিষয়টা এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। আর জি কর কাণ্ডেও CBI ব্যর্থ বলেই মনে করেন আদালত।
কেন নথি দিতে দেরি হলো? সঠিক সময় কেন নথি জমা দিতে পারছে না CBI? এই প্রশ্নের উত্তর নেই তাদের কাছে। সিবিআইয়ের এমন কাণ্ড দেখে হতবাক বিচারকও। যারাই অভিযোগ তুলল তারাই নথি দিতে পারল না অভিযুক্তদের! এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে। সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অনেকে। কারণ প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত ২৭ ডিসেম্বর একটি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। সেখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও অভিযুক্ত হিসাবে নাম ছিল অয়ন শীল ও সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম ছিল। আজ, শুক্রবার অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কাছে উপযুক্ত নথি সরবরাহ করতে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু সিবিআই নথি জমা দিতে পারেনি। স্বাভাবিক কারণেই ক্ষুব্ধ বিচাপতি। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, CBI প্রসঙ্গে ‘ডান্ডা’ ব্যবহারের নিদান পর্যন্ত দিয়েছেন।
