নিউজ ডেস্ক ::এমন ঘটনা অবশ্য আগেও ঘটেছে। এবারের ঘটনা রাজস্থানে। রাজস্থানের ঝুনঝুনুর গ্রামীণ এলাকায় ছেঁড়া শাড়ি পরে রাস্তায় রাস্তায় বাসনপত্র বিক্রি করত দুই মহিলা। নতুনের বদলে পুরনো বাসনপত্র বদলির প্রস্তাব নিয়ে বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে পড়ত এই মহিলারা। কিন্তু নেপথ্যে ছিল অন্য ‘খোঁজ’। ওই মহিলারা প্রায়ই বিকেলের দিকে এলাকায় ঘুরতেন। যখন বাড়িতে কোনও পুরুষ থাকতেন না। প্রথমটা তাদের নিয়ে কারও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু অচিরেই বাড়িতে ঢুকে এসে সেই বাড়ির লোকেদের সঙ্গে এমন কাণ্ড করত যা শুনলে চমকে যাবেন। আপনি প্রায়শই শুনে থাকবেন পথ চলতি অনেক হকাররাই পুরোনো বাসনের পরিবর্তে নতুন বাসন বিক্র্রি করে থাকে। রাজস্থানের ঝুনঝুনুর গ্রামীণ এলাকায় এমনই কেনাবেচার নামে দুই মহিলাকে প্রায়ই এলাকায় ঘুরতে দেখা যেত। কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে প্রতারণা করে আরও ভয়ঙ্কর কাজ হাসিল করা। কী সেই কাজ? জানলে চমকে উঠবেন আপনিও।
এই মহিলারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুরনো বাসনপত্র নিতেন এবং নতুন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিতেন এবং এই সময়ই তারা বাড়ির নিরীহ গ্রামীণ মহিলাদের ফুসলিয়ে তাদের ঘরে ঢুকে আসত। আর কিছু সময়ের মধ্যেই নিজেদের হাতযশে বাড়ির মহিলাদের ফুসলিয়ে তাঁদের যাবতীয় সোনা-রূপার গয়না গায়েব করে দিত ম্যাজিকের মতো। এমন একের পর এক প্রতারণার ঘটনা ওই এলাকায় অনেকবার ঘটলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। পুলিশের তদন্তে সত্যি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশের হাতে ধরা পরে যায় ওই দুই মহিলা। ঘটনায় ঝুনঝুনুর মেহদা পুলিশ দুই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ অফিসার সরদারমল জাট জানান, “২১ ডিসেম্বর এই মহিলারা গ্রামীণ এলাকায় ঢুকে পুরনো বাসনের বদলে নতুন বাসন দেওয়ার প্রস্তাব দিত। কিন্তু দেখা যায় এরা বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ঘরে চলে আসত। পরে পুরনো বাসনপত্র সংগ্রহ করে নতুন আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যেত। কিন্তু পরদিন নতুন পাত্র নিয়ে ফিরে আসার পাশাপাশি একটি নতুন প্রতারণামূলক প্রস্তাবও আনতো তারা। আর তাতেই ফেঁসে যেত গ্রামের সহজ-সরল মহিলারা।”
