নিউজ ডেস্ক ::মন্ত্রীসভার মিটিংয়ে বেশ এক প্রস্থ নাটক হয়ে যায়। মধ্যখানে মুখ্যমন্ত্রী আর দুই পাশে জাভেদ খান ও ফিরহাদ হাকিম। জানা যায় লেদার কমপ্লেক্স থানায় দিন তিনেক আগে ম্যানহোলে ঢুকে মৃত্যু হয় তিন সাফাই কর্মীর। আর সেটা নিয়েই মমতার ধমক খান জাভেদ খান। দেশের বড় শহরে (কলকাতা -দিল্লি-চেন্নাই- বেঙ্গালুরু) শ্রমিক দিয়ে ম্যানহোল পরিষ্কার করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করছিল সুপ্রিম কোর্ট। ঠিক সেই নির্দেশের তিন থেকে চারদিনের মধ্যেই কলকাতার লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় ম্যানহোলের ভিতর পড়ে মৃত্যু হয় শ্রমিকের। এবার এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের মন্ত্রী জাভেদ খানকে। চাপে পড়ে পুর ও নগরোন্নয়নের দফতরের ঘাড়ে দোষ চাপাতে যান তিনি। মন্ত্রী জানান, এখানে তাঁর দফতরের কোনও ভূমিকা নেই। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের অধীনে পড়ে। সূত্রের খবর, এরপরই জাভেদ খান ও পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে এক প্রকার বাক-বিতণ্ডার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। এরপর দুই দফতরের মন্ত্রীকে থামিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুটা ক্ষুন্ন হয়ে চুপ হয়ে যান জাভেদ খান।
আমরা জানি, ম্যানহোল পরিষ্কার করতে নেমেছিলেন তিন শ্রমিক। তার জেরেই বিপত্তি ঘটে কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সে। ম্যানহোলে তলিয়ে যান তাঁরা। কয়েক ঘণ্টা ভিতরে আটকে থাকার পর মৃত্যু হয় শ্রমিকদের। পরবর্তীতে মৃতদের দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তবে বিষয়টি আর বেশি দূর এগোয় নি বলেই জানা যাচ্ছে।