নিউজ ডেস্ক ::রাজ্যের প্রধান রাস্তা ছাড়া অন্যান্য রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। বহু রাস্তায় এখন আর সামান্য পিচের প্রলেপ দেখা যায় না। এর মধ্যেই কেন্দ্র ও রাজ্যের টাকা নিয়ে দড়ি টানাটানি। তাই আর কেন্দ্র সরকারের ভরসায় না থেকে এবার রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে উদ্যোগী মমতা সরকার। বিধানসভা ভোটের আগে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিশেষ গুরুত্ব নবান্নের। নবান্ন সূত্রে খবর, মার্চের মধ্যে পর্যায়ক্রমে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার (৯৮৩.৯৫ কিলোমিটার) রাস্তা সংস্কার অথবা নতুনভাবে নির্মাণ করতে চাইছে রাজ্য সরকার। যার জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রায় ৩৫২৭ কোটি টাকা খরচ হবে। জানা যাচ্ছে মোট ১১৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে এই কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। যার প্রত্যেকটির কাজের গতির মূল্যায়ন করেছে পূর্তদপ্তর। নবান্নে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত তৎপরতা। সামনে বছর নির্বাচন। সেকথা মাথায় রেখে দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী।
কাজ শেষ করতে হবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে। এর মধ্যে কোনো গাফিলতি চলবে না। প্রত্যেকটি কাজ শেষ করার জন্য টাইট ডেডলাইনও বেঁধে দিয়েছে রাজ্য। সম্প্রতি মন্ত্রী পুলক রায় সহ পূর্তদপ্তরের শীর্ষকর্তা ও সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের মধ্যে এই নিয়ে বৈঠক হয়। সেখানেই প্রত্যেকটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক করে দেওয়া হয়। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রতিটি জেলাই পূর্তদপ্তরের এই প্রকল্পগুলির সুবিধা পাবে। বিভিন্ন জেলায় রাস্তা সংস্কার ও নতুনভাবে তৈরির পাশাপাশি ছোট বড় ১৪টি সেতুও এই তালিকায় রয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় থেকে কেন্দ্র টাকা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজেই ৯ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ৩২ হাজার কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক তৈরি করেছে। এ এক বিরাট কর্ম যজ্ঞ শুরু হতে চলেছে বলা চলে।
ইতিমধ্যেই সেই রাস্তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার মুড়াগাছা থেকে কাঁপা মোড় পর্যন্ত কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ের সম্প্রসারণ, হাওড়ার সালকিয়া চণ্ডীতলা রোড, পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি-খেঁজুরি রোডের সম্প্রসারণ। আছে উত্তরবঙ্গের একাধিক বড়ো রাস্তা। বীরভূমের আহমেদপুর কীর্ণাহার-রামজীবনপুর রোড, হুগলির মশাট-ধিতপুর রোড, ঝাড়গ্রামের হাতিগেরিয়া কুলটিকরি রোহিনী রোগরা রোড, নদিয়ার তারাপুর-বোলাগরঘাট রোড, মালদহের বামনগোলা-হবিবপুর রোড, আলিপুরদুয়ারের কালচিনি-পাইটকাপাড়া রোড ইত্যাদি। দক্ষিণবঙ্গ ছাড়াও উত্তরবঙ্গের রাস্তাও উঠে এসেছে তালিকায়।