নিউজ ডেস্ক ::বীরভূম মানেই মুখ্যমন্ত্রীর প্ৰিয় কেষ্ট, আর কেষ্টর জেলে থাকাকালীন বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছেন কাজল শেখ। এবার সেই দ্বন্দ্ব বোমা গুলিতে পরিণত হলো। আসল লড়াই তো ‘টাকা’ নিয়ে। কার অধীনে থাকবে বিভিন্ন মাফিয়াদের রাজ! কেষ্টর জেলযাত্রার পরেই বীরভূমে ‘বিনা মুকুটে’ রাজা হয়ে উঠেছিলেন কাজল শেখ। তবে এখন পরিস্থিতি বদলেছে। জেলমুক্ত হয়েছেন কেষ্ট মণ্ডল। কিন্তু তারপরেও কি থেমেছে তাদের ঠান্ডা লড়াই? প্রশ্নের উত্তরটা এখনও অধরা। তবে বিশ্লেষকদের ইঙ্গিত এই যুদ্ধ এখনই থামার নয়। ভরদুপুরে একের পর এক বোমায় রীতিমতো ধোঁয়া ধোঁয়া হয়ে গেল চারপাশ। বিকট শব্দ। চোখে দেখা যাচ্ছে না কিছুই। বীরভূমে যেন বেজেছে রণডঙ্কা। এখানে কোনো পাণ্ডব পক্ষ নেই কৌরব পক্ষের মধ্যেই ক্ষমতা ধরে রাখার লড়াই।
মঙ্গলবার কাঁকরতলা থানা এলাকার জামালপুরে বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে ছড়াল উত্তেজনা। স্থানীয় সূত্রে খবর, বালির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে যুযুধান হয়ে ওঠে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। তারপরই চলে বোমাবাজি। বোমা এখন বাংলায় মুড়ি মুড়কির মতো বিকোচ্ছে। কারণ, পুলিশ নীরব দর্শক। তবে বীরভূমের অন্দরে কোনও গোষ্ঠী ভাগাভাগি চলছে না বলেই মত তৃণমূল জেলা সভাপতি কাজল শেখের। তাঁর কথায়, ‘বীরভূম জেলায় তৃণমূল কংগ্রেসের একটাই গোষ্ঠী, সেটা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী। আমরা সকলেই তৃণমূল করি।’ সূত্রের খবর, কাজল শেখ গোষ্ঠীর স্বপন সেন ও অনুব্রত মণ্ডল গোষ্ঠীর কোর কমিটির উজ্জ্বল হক কাদেরীর লোকজনের জেরেই চলে এই বোমাবাজির ঘটনা। জানা গিয়েছে, ঘটনায় ইতিমধ্যে জখম হয়েছেন একজন। বোমার আঘাতে পা উড়েছে এক তৃণমূল কর্মীর। তবুও চলবে এই লড়াই। মানুষ বড়ো অসহায় হয়ে সব তাকিয়ে দেখবে।