নিউজ ডেস্ক ::কথায় বলে ‘একা হনুমানে রক্ষা নেই, সুগ্রীব দোসর।’ অনেকটা সেই অবস্থা নিয়োগ দুর্নীতির। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কিন্তু এখন সামনে আসছে আরও তথ্য। সিবিআইয়ের সংগ্রহ করা সেই নথিতে দেখা যাচ্ছে এমন একাধিক প্রভাবশালীর নাম যাঁরা বর্তমানে বিজেপির নেতা নেত্রী। একাধিক উল্লেখযোগ্য নাম। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেত্রী তথা প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ, তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ কয়েকজনের নাম রয়েছে। তবে ভারতী ও দিব্যেন্দুর নাম থাকলেও যে সময়ে তাঁরা সুপারিশ করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে সেই সময় কেউই ছিলেন না বিজেপিতে। দল যাই হোক, সরকারি চাকরির সুপারিশ কখনো হতে পারে না। সেক্ষেত্রে সুপারিশ মানেই বেআইনি কাজ।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুপারিশ করা হয়েছিল SMS করে। তখন সকলেই ছিলেন তৃণমূলের সম্পদ। নথিতে একদিকে সুপারিশকারীর নাম আর অপরদিকে সেখানে যাদের নাম সুপারিশ করা হচ্ছে তাদের নাম। যেটা তদন্তকারীরা মনে করছেন যে এই সুপারিশ করা হয়েছিল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। এদিকে গোটা ঘটনা নিয়ে দিব্যেন্দু অধিকারী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। মমতাবালা জানিয়ে দিয়েছেন সবটাই চক্রান্ত। ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন, আমি এসপি থাকাকালীন অনেক লোকের উপকার করেছি। কিন্তু সবটাই আইনের গন্ডির মধ্যে থেকে। কারও পরীক্ষাকেন্দ্র বদলের দরকার। যেখানে বলার বলেছি। কারও পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে রেজাল্ট বের হচ্ছে না যেখানে বলার বলেছি। কেউ পরীক্ষা দেয়নি বা পাশ করেনি তাকে চাকরি দিয়ে দাও এরকম আমি কখনও বলিনি। আমার নাম যদি সিবিআই পেয়েও থাকে, আমার বলায় কারো চাকরি হয়েছে বলে যদি সিবিআই জেনে থাকে তাহলে সিবিআইয়ের উচিত ছিল আমার সঙ্গে কথা বলা।
