নিউজ ডেস্ক ::একদম সূর্য ওঠার মুহূর্তে প্রতিদিন প্রতিবেশীর মোরগ চিল-চিৎকারে ডেকে ওঠে। তার ঘুম যায় ভেঙে। সারাদিন পরিশ্রমের পরে ঘুমিয়েও কোনো শান্তি নেই। অবশেষে তিনি নিলেন কঠিন সিদ্ধান্ত। মোরগের ডাক বৃদ্ধের কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান তিনি। গুরুত্ব সহকারে বিবেচনাও হয় সেই অভিযোগ। নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও। ঘটনাটি কেরলের পল্লিকাল গ্রামের। সেখানকার বাসিন্দা রাধাকৃষ্ণ কুরুপের বাড়ি পাশে থাকেন অনিল কুমার। তিনি বাড়িতে মোরগ পোষেন। ঘটনাচক্রে সেই মোরগের ঘর রাধাকৃষ্ণের শওয়ার ঘরের সামনে। প্রতিদিন রাত ৩টেয় নিজের নিয়মে ডেকে ওঠে মোরগটি।
প্রথমিকভাবে প্রতিবেশীকে মৌখিকভাবে অভিযোগ করে কোনো লাভ হয় নি। ভোররাতে মোরগের ডাকে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধ রাধাকৃষ্ণের। দিনের পর দিন এই ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এদিকে, ঘুমাতে পেরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে দাবি করেন কুরুপ। রাগে মোরগের ডাকের হাত থেকে বাঁচতে নির্দিষ্ট জায়গায় অভিযোগও জানান তিনি। এই অভিযোগ খুব গুরুত্ব সহকারে দেখে রেভিনিউ ডিভিশনাল অফিসার। দুজনকেই ডেকে পাঠান তিনি। আধিকারিকরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপরই মোরগের থাকার স্থানটি পরিবর্তন করতে হবে বলে অনিলকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যা কুরুপের বাড়ি থেকে বেশকিছুটা দূরে হতে হবে। ১৪ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় অবাক স্থানীয়রা। হাফ ছেড়ে বেঁচেছেন বৃদ্ধ রাধাকৃষ্ণ কুরুপ। একেই বলে ‘সব ভালো তার, শেষ ভালো যার।’
