নিউজ ডেস্ক ::পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ আগেই পৃথকে হয়েছে। এবার বালোচিস্থান আলাদা হওয়ার মুখে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে পৃথক হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। বালোচিস্তান প্রদেশেও দীর্ঘদিন ধরে পৃথক রাষ্ট্রের দাবিতে আন্দোলন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সংসদে মৌলানা ফাজলুর রেহমান বলেন, “বালোচিস্তানে পুলিশও নেই। সেনাও নেই। এই অবস্থায় হৃদয়ে হাত রেখে আমাকে বলছে হচ্ছে যে, বালোচিস্তানের ৫-৭টি জেলা এমন অবস্থায় রয়েছে যে তারা যদি স্বাধীনতা ঘোষণা করে তবে পরদিনই রাষ্ট্রসঙ্ঘ তা স্বীকার করবে।” এর আগে তিনি বলেছিলেন, বালোচিস্তান রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে নেই। স্বাবাবিক কারণেই এই প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক যে পাকিস্তান কি আবার ভাঙছে?
ফাজলুর রেহমানের বক্তব্যের পর এফবিএমের তরফে বলা হয়েছে, এই এলাকার উন্নয়ন, শান্তির জন্য বালোচিস্তানের স্বাধীন হওয়া দরকার। বালোচিস্তানের সঙ্গে ইরান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত রয়েছে। সাধারণ নাগরিক থেকে শুরু করে সমাজকর্মীদের বিচারবহির্ভূত হত্যার অভিযোগ বারবার উঠেছে এই প্রদেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লাগাতার হিংসা, হত্যা, অপহরণের মতো অপরাধের জন্য পাকিস্তানের এই প্রদেশ আর্থিকভাবে পিছিয়ে। এখানে ন্যূনতম পরিকাঠামোরও অভাব রয়েছে।
