নিউজ ডেস্ক ::একদল পৌরবাসী বলছেন, শহর পরিষ্কার রাখতে তারা এই কর দিতে প্রস্তুত। যদিও অনেকে বলছেন, পৌরকর দেবার পরেও কেন অতিরিক্ত ২০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রের অর্থ মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুয়ায়ী কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতর নির্দেশ দিয়েছে, প্রত্যেক পুরসভাকেই বাধ্যতামূলক ভাবে পরিষেবা মূল্য নিতে হবে। না হলে সংশ্লিষ্ট খাতে কেন্দ্রীয় সরকারের অনুদান বন্ধ হয়ে যাবে। ডানকুনি পুর-কর্তৃপক্ষের দাবি, সেই নির্দেশিকার সাপেক্ষেই সম্প্রতি ২১টি ওয়ার্ডে ধাপে ধাপে বাড়ি, আবাসন, হোটেল, বাণিজ্যিক কেন্দ্র থেকে আবর্জনা সংগ্রহের জন্য পরিষেবা মূল্য নেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। তবে এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক।
বিরোধীদল বলছে, এভাবে আলাদা করে কর নিতে পারে না পৌরসভা। ডানকুনি ফুটবল মাঠ সংলগ্ন একটি আবাসনের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমার সমস্যার সুরাহা করতে পারেননি পুর-কর্তৃপক্ষ। আমরা পুরকর দিই, এখন আবার বাড়ির আবর্জনা তুলতেও টাকা চাইছে পুরসভা। এতে শুধু আমি নই, অনেকই আপত্তি তুলছেন।’’ পুর-কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পুরসভায় স্মারকলিপি দিয়েছে বিজেপি। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি তথা ডানকুনির প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিষেবা দিলে তবেই পরিষেবা মূল্য নেওয়ার অধিকার পুরসভার জন্মায়। স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পে ডানকুনি পুরসভা চারটি ট্রাক্টর এবং বেশ কিছু আবর্জনাবাহী ছোট গাড়ি পেয়েছিল। দু’একটা চলে। বাকি পড়ে নষ্ট হচ্ছে। এটাই পরিষেবা!’’ ডানকুনিতে এভাবেই বিতর্কের মধ্যেই চলো হলো নতুন পৌরকর।
